Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি’

Icon

কৌশলী ইমা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২১, ০৪:১৯ পিএম

‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি’

আদর্শগতভাবে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অত্যন্ত অবিচল, কিন্তু একই সঙ্গে দেশের সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিত করতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত বাস্তববাদী। আর এজন্য তিনি সার্বজনীন মূল্যবোধ ও নীতির ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

স্থানীয় সময় সোমবার (১ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, নিউইয়র্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলেতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ এর যৌথ উদ্যোগে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি' শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদত্ত বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

ওয়েবিনারটির প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পুরস্কার বিজয়ী সাংবাদিক ও লেখক সলীল ত্রিপাঠি, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার অনারপ্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনিয়র কূটনীতিক থমাস এ ডাইন এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। প্যানেল আলোচনা পর্বের সঞ্চালক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ইনস্টিটিউট ফর সাউথ এশিয়া স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. সঞ্চিতা বি সাক্সেনা।

উদ্বোধনী বক্তব্য জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গি ও আদর্শ যা ১৯৭৪ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তার প্রথম বাংলায় ভাষণে প্রতিভাত হয়েছিল, তা অনুসরণ করেই বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। সে সময়ের বৈশ্বিক অর্থনীতির অসমতা দূর করতে বঙ্গবন্ধু মানুষের ভ্রাতৃত্ব ও একাত্মতার শক্তির পুনর্জাগরণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক; বিশেষকরে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আজ যখন বিশ্ব উন্নয়ন ব্যবস্থা অত্যন্ত ভঙ্গুর, ঠিক এ সময়েই জাতির পিতার সেই আহ্বানের বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এলডিসি ক্যাটেগরি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের উদাহরণ টেনে তিনি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন জাতির পিতার “সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়” নীতি-আদর্শ উল্লেখ করে বলেন, এই আদর্শই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি এবং এই আদর্শ অনুযায়ীই ভবিষ্যতে পরিচালিত হবে বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি গতিশীল পররাষ্ট্রনীতি হিসেবে চিহ্নিত, বিশ্বাঙ্গনে যার রয়েছে নিরপেক্ষতার খ্যাতি এবং উচ্চ নৈতিক অবস্থান; আর এ কারণেই অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের প্রায় সব দেশের স্বীকৃতি অর্জন করতে পেরেছিল বাংলাদেশ।

প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আলোচকরা। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পরবর্তী সরকারগুলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও অবদান মুছে ফেলতে চেয়েছিল মর্মে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধু নীতি-আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধুর ওপর আরও গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন প্রফেসর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

ওয়েবিনারটিতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
 

পররাষ্ট্রনীতি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম