|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সামনেই ফুটবল বিশ্বকাপ, তার আগেই ইরানের রাজধানী তেহরানে শুরু হলো ফুটবলের ১৩তম ‘রোবোকাপ’।
‘রোবোকাপ’ নামটা শুনে আপনি হয়তো অবাক হচ্ছেন। অবাক হওয়ারই কথা। এই ফুটবল প্রতিযোগিতা আর সব প্রতিযোগিতা থেকে একেবারে আলাদা স্বাদের। এই ক্রীড়ানুষ্ঠান একটি শিক্ষণীয় বিষয়।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির জেরে আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল চলছে কয়েক বছর ধরে। আবার গুঁড়ো হলুদ থেকে ক্যানসারের প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি করেছে দেশটি।

রক্ষণশীল ইসলামিক শাসন থাকলেও ইরান আসলে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবেই বিবেচিত হয়। ইসলামিক বিপ্লবের পর নবগঠিত ইরানের প্রযুক্তিও চমক দিচ্ছে। তারই অন্যতম উদাহরণ হলো রোবট গবেষণা।
রোবোকাপ কি?
যদি রোবোকাপকে বিশ্লেষণ করতে হয় তাহলে চোখের সামনে ফুটে উঠবে বিশ্বকাপের প্রতিচ্ছবি। একটা সবুজ মাঠ। মাঠজুড়ে টানটান উত্তেজনা। মাঠে দুপক্ষের ১১ জন খেলোয়াড়। একজনের পা থেকে আর একজনের পায়ে পায়ে বল গিয়ে পৌঁছেছে জালে।
তবে রোবোকাপের এই ১১ জন কিন্তু মানুষ নয়। মূল বিশেষত্ব এখানেই। গোটা কাপজুড়ে খেলবে রোবোটরা। গোলকিপারও রোবট।
এই বিষয়ে ইরানের রোবট প্রযুক্তিবিষয়ক কর্মকর্তা সৌরেনা সাত্তার বলেন, ‘এই ধরনের প্রয়াসকে স্বাগত জানাই। তরুণ প্রজন্ম যে সিস্টেম প্রোগ্রামিং করেছে তা যাতে ভবিষ্যতে ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে।’
রোবোকাপের জার্মানির লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সের পড়ুয়ারা ফুটবল স্ট্যান্ডার্ড লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে
তবে ইরানের কুয়েজভিন ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রফি পায় সাতটি আলাদা ইভেন্ট জিতে।
এই বিশেষ পরিকল্পনাটির পেছনে অবদান রয়েছে কিছু আগ্রহী রোবোটিকস ছাত্রছাত্রীর।
আসলে রোবোকাপ হলো একটি আন্তর্জাতিক শিক্ষামূলক পদক্ষেপ, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ভবিষ্যতে তার প্রয়োগ নিয়ে গবেষণা করে থাকে।
