ট্রাক ড্রাইভারদের বিক্ষোভের জেরে কানাডার রাজধানীতে জরুরি অবস্থা জারি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৫:৪০ এএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ট্রাক চালকদের বিক্ষোভের মুখে কানাডার রাজধানী অটোয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন শহরটির মেয়র জিম ওয়াটসন। খবর-বিবিসি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, চলমান বিক্ষোভের কারণে শহরবাসীর নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার ওপর ঝুঁকি ও বিপদের আশঙ্কা থাকার প্রেক্ষাপটেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
টিকা না নেওয়া ট্রাকচালকরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় ফেরার পর তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে ৩০ জানুয়ারি এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।
কিন্তু টিকা ও লকডাউনবিরোধী আরও হাজার হাজার মানুষও এই বিক্ষোভে যোগ দেন।
বিক্ষোভকারীরা কানাডার পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। ফলে অটোয়ার কেন্দ্রস্থল অচল হয়ে যায়।
অটোয়ার মেয়র জিম ওয়াটসন বলেছেন, দিন দিন পুলিশের চেয়ে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা ছাড়িয়ে যাওয়ায় শহরটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
তিনি বলেন, চলমান বিক্ষোভ শহরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ট্রাকচালকরা অটোয়ার রাস্তাঘাট অচল করে দিয়েছে, ট্রাক দিয়ে এবং তাঁবু খাটিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন তারা।
'ফ্রিডম কনভয়' নামে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল ট্রাকচালকদের জন্য কোভিডের টিকা বাধ্যতামূলক করা ও দেশটির সরকারের নেওয়া বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে।
কানাডার রেডিও স্টেশন সিএফআরএতে ওয়াটসন বলেন, বিক্ষোভকারীরা শহরের মধ্যে 'হর্ন এবং সাইরেন বাজিয়ে, বিভিন্ন জায়গায় আতশবাজি পুড়িয়ে রীতিমতো উৎসবে পরিণত করে' ক্রমাগত অসহিষ্ণু আচরণ করছেন।
কিন্তু রোববার পুলিশ বলেছে— তারা কঠোর হবে, এর মধ্যে বিক্ষোভকারীদের যারা সাহায্য করতে আসবে, তাদের গ্রেফতার করার মতো পদক্ষেপও নিতে পারে পুলিশ।
জরুরি অবস্থার ফলে শহরের কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং জরুরি সেবার জন্য ব্যবহার হওয়া যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারবে তারা এখন।
বিক্ষোভের মুখে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং তার পরিবার রাজধানী ছেড়ে অজানা স্থানে চলে যান।
বিক্ষোভকারীরা কানাডার পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। ফলে অটোয়ার কেন্দ্রস্থল অচল হয়ে যায়।
এদিকে পুলিশ বলছে— এই বিক্ষোভে কীভাবে চরমপন্থি বক্তৃতা দেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়ে তারা চিন্তিত।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কিম্বারলি বল নামে একজন বিক্ষোভকারী কয়েক ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে এসে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন।
তিনি এএফপিকে বলেন, এ আন্দোলনটা আমাদের স্বাধীনতার। এই আন্দোলনের কারণে আমাদের পরিচিত কিছু মানুষ, বন্ধু চাকরি হারিয়েছে।
অধিকাংশ কানাডিয়ান টিকার পক্ষে এবং দেশটিতে এ পর্যন্ত টিকা পাওয়ার যোগ্য ৮৩ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
