কেন ফিনল্যান্ড-সুইডেনকে ন্যাটোতে চান না জানালেন এরদোগান
যুগান্তর ডেস্ক
১৩ মে ২০২২, ২০:৩২:৩০ | অনলাইন সংস্করণ
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটো জোটে যোগদানকে তুরস্ক ইতিবাচক ভাবে দেখছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। বার্তা সংস্থা এএফপি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইস্তাম্বুলে জুমার নামাজের পর এরদোগান সাংবাদিকদের বলেন, ন্যাটো সদস্য তুরস্কের পক্ষে সামরিক জোটে যোগদানের জন্য সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের পরিকল্পনাকে ইতিবাচকভাবে দেখা সম্ভব নয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমাদের ইতিবাচক মতামত নেই। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো সন্ত্রাসী সংগঠনের গেস্টহাউসের মতো।
এ সময় এরদোগান তুরস্কের আগের শাসক ১৯৫২ সালে গ্রিসকে ন্যাটো সদস্যপদের অনুমোদন দিয়ে ভুল করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দ্বিতীয়বার একই ইস্যুতে ভুল করতে চাই না।
এরদোগান স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর বিরুদ্ধে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এবং চরম বামপন্থী রেভুলেশনারি পিপলস লিবারেশন পার্টি-ফ্রন্ট (ডিএইচকেপি-সি) সদস্যদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
এদিকে, ন্যাটো সদস্য তুরস্ক ইউক্রেনকে ড্রোন সরবরাহ করলেও পশ্চিমা মিত্রদের মতো রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা থেকে বিরতই রয়েছে।
তবে যেহেতু তুরস্কের রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রয়েছে, তাই রুশ আগ্রাসনের শুরু থেকেই আংকারা সংঘর্ষের অবসানের জন্য মধ্যস্থতা করে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে।
ইউক্রেনের শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটির আগ্রাসন ফিনল্যান্ডের রাজনৈতিক ও জনমত নাটকীয়ভাবে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক হিসেবে ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের পক্ষে চলে যায়।
ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন দীর্ঘদিন ধরে ন্যাটোর সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুতই দেশ দুটি ন্যাটো জোটে যোগ দিতে সক্ষম হবে।
বৃহস্পতিবারই ন্যাটো সদস্যপদের আবেদনের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা দেয় ফিনল্যান্ড। ধারণা করা হচ্ছে সুইডেনও ফিনল্যান্ডের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে। এর ফলে পশ্চিমা সামরিক জোটের সম্প্রসারণ ঘটাবে। যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এই বিষয়টিই আটকাতে চেয়েছিলেন।
শুক্রবার পুতিন তার নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে দুই দেশের সম্ভাব্য ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরএআই জানিয়েছে।
এর আগে ক্রেমলিন জানিয়েছিল, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে যোগদানের পরিকল্পনা করেছে। এটি এমন একটি প্রতিকূল পদক্ষেপ যা রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। রাশিয়া এর প্রতিক্রিয়া জানাবে বলেও হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ক্রেমলিনের তরফ থেকে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কেন ফিনল্যান্ড-সুইডেনকে ন্যাটোতে চান না জানালেন এরদোগান
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটো জোটে যোগদানকে তুরস্ক ইতিবাচক ভাবে দেখছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। বার্তা সংস্থা এএফপি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইস্তাম্বুলে জুমার নামাজের পর এরদোগান সাংবাদিকদের বলেন, ন্যাটো সদস্য তুরস্কের পক্ষে সামরিক জোটে যোগদানের জন্য সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের পরিকল্পনাকে ইতিবাচকভাবে দেখা সম্ভব নয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমাদের ইতিবাচক মতামত নেই। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো সন্ত্রাসী সংগঠনের গেস্টহাউসের মতো।
এ সময় এরদোগান তুরস্কের আগের শাসক ১৯৫২ সালে গ্রিসকে ন্যাটো সদস্যপদের অনুমোদন দিয়ে ভুল করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দ্বিতীয়বার একই ইস্যুতে ভুল করতে চাই না।
এরদোগান স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর বিরুদ্ধে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এবং চরম বামপন্থী রেভুলেশনারি পিপলস লিবারেশন পার্টি-ফ্রন্ট (ডিএইচকেপি-সি) সদস্যদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
এদিকে, ন্যাটো সদস্য তুরস্ক ইউক্রেনকে ড্রোন সরবরাহ করলেও পশ্চিমা মিত্রদের মতো রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা থেকে বিরতই রয়েছে।
তবে যেহেতু তুরস্কের রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রয়েছে, তাই রুশ আগ্রাসনের শুরু থেকেই আংকারা সংঘর্ষের অবসানের জন্য মধ্যস্থতা করে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে।
ইউক্রেনের শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটির আগ্রাসন ফিনল্যান্ডের রাজনৈতিক ও জনমত নাটকীয়ভাবে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক হিসেবে ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের পক্ষে চলে যায়।
ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন দীর্ঘদিন ধরে ন্যাটোর সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুতই দেশ দুটি ন্যাটো জোটে যোগ দিতে সক্ষম হবে।
বৃহস্পতিবারই ন্যাটো সদস্যপদের আবেদনের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা দেয় ফিনল্যান্ড। ধারণা করা হচ্ছে সুইডেনও ফিনল্যান্ডের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে। এর ফলে পশ্চিমা সামরিক জোটের সম্প্রসারণ ঘটাবে। যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এই বিষয়টিই আটকাতে চেয়েছিলেন।
শুক্রবার পুতিন তার নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে দুই দেশের সম্ভাব্য ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরএআই জানিয়েছে।
এর আগে ক্রেমলিন জানিয়েছিল, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে যোগদানের পরিকল্পনা করেছে। এটি এমন একটি প্রতিকূল পদক্ষেপ যা রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। রাশিয়া এর প্রতিক্রিয়া জানাবে বলেও হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ক্রেমলিনের তরফ থেকে।