চীন-তাইওয়ান দ্বন্দ্বে যেভাবে প্রভাব ফেলতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:৩৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তায় বিন্দুমাত্র কমতি নেই যুক্তরাষ্ট্রের। অস্ত্র, গোলাবারুদ আর অর্থ দিয়ে ইউক্রেনের প্রতি সবচেয়ে বেশি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দেশটি। ইতোমধ্যে ট্যাংক পাঠানোরও ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কংগ্রেসে দেশটির আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে ভাষণও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। মার্কিন ইতিহাসে যা বিরল ঘটনা।
ইউক্রেন-রাশিয়ার এই দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, চীন যদি তাইওয়ানে হামলা করে তবে তাইওয়ানের সাহায্যেও এগিয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্র। এক মার্কিন সামরিক কর্মকর্তার দাবি, ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান দখলের জন্য হামলা করতে পারে বেইজিং। খবর এপির।
ইউক্রেনের মতোই তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। চীনের আক্রমণের পরই মাঠে নামবে দেশটি। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে কয়েকটি বিষয় শেখার আছে মার্কিনিদের।
তাইওয়ানে অগ্রিম অস্ত্র মজুত রাখা
ইউক্রেনে রুশ হামলার পর দেশটিতে অস্ত্র পাঠানো শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাইওয়ানের ক্ষেত্রে এটি করলে অদূরদর্শিতা হবে। তাই বেইজিংয়ে হামলার আগেই দ্বীপটিতে অস্ত্র মজুত রাখতে হবে মার্কিনিদের।
যদি তাইওয়ানে অস্ত্র মজুত না রাখা হয়, তবে দেশটি হামলার পর কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের জন্য তাইওয়ানকে সারাবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সংকট
গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে অসংখ্য অস্ত্র আর গোলাবারুদ পাঠিয়েছে। পেন্টাগনের তথ্য বলছে, এ পর্যন্ত সাড়ে আট হাজার জ্যাভলিন অ্যান্টি-আর্মার সিস্টেম, দেড় হাজার স্টিংগার অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট সিস্টেম এবং এক লাখ রাউন্ড ১২৫ মিমি ট্যাংক গোলাবারুদসহ লাখ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ পাঠিয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, নিজেদের রক্ষায় প্রতিদিন রাশিয়ার দিকে প্রায় ৭০০ রাউন্ড গোলাবারুদ ছুড়ছে ইউক্রেন। আর এগুলোর সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনকে সহায়তা করে অস্ত্র সংকটে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে আসন্ন চীন-তাইওয়ান দ্বন্দ্বের সময় অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংকটে পড়তে পারে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মার্ক ক্যানসিয়ান মনে করেন, বেইজিং তাইওয়ানে আক্রমণ করলে অস্ত্র সহায়তায় সংকটে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
সাইবার যুদ্ধের প্রস্তুতি
ইউক্রেন যুদ্ধের একপর্যায়ে দেশটির প্রায় হাজার হাজার মডেম নষ্ট করে দিয়েছেন রাশিয়ার হ্যাকাররা। ইউক্রেনের অনেক তথ্য চলে গেছে রুশ হ্যাকারদের কাছে। তাইওয়ান-চীন যুদ্ধেও এমনটি হতে পারে। আর এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের। সাইবার হামলা থেকে প্রস্তুত থাকতে হবে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানকে।
