সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু এবং এ দুই মিত্র দেশের মধ্যে আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা প্রসারিত হওয়ার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বুধবার এই প্রথম দামেস্ক সফরে গেছেন। 

রাইসির এ সিরিয়া সফর হবে গত ১৩ বছরের মধ্যে দেশটিতে কোন ইরানি প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ২০১০ সালে সর্বশেষ দামেস্ক সফর করেছিলেন। খবর এএফপি’র।

সিরিয়ার বার্তা সংস্থা সানা জানায়, এ সফর চলাকালে রাইসি ও আসাদ ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, অভিন্ন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যু এবং এ অঞ্চলের ইতিবাচক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন।’

এএফপি’র এক সংবাদদাতা জানান, দামেস্কে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসে কয়েকদিন ধরেই রাইসির এ সফরের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে মিশনের সামনে থাকা কংক্রিটের প্রতিবন্ধক সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, আসাদের আমন্ত্রণে ইরানের প্রেসিডেন্ট তার দুই দিনের সফরে একটি সিনিয়র ‘অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক প্রতিনিধি দলের’ নেতৃত্ব দেবেন।

আঞ্চলিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ সফরকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বলে অভিহিত করেছেন দামেস্কে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত হোসেইন আকবারি।

গত এক যুগ ধরে সংঘাত চলাকালে ইরান সিরিয়াকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। তেহরান দামেস্ককে তাদের হারানো অঞ্চল ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সিরিয়ার পুনর্গঠনের বিষয়ে ইরানের ভূমিকাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে ফের সম্পর্ক গড়ার জন্য ইরানের যুগান্তকারী চুক্তির কয়েক সপ্তাহ পর এবং ইরান ও সিরিয়ার সাথে আঞ্চলিক সম্পর্কের পরিবর্তনের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে কূটনীতির ঝড়ের মধ্যেই তিনি এ সফরে আসছেন।

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, লাখ লাখ লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং দেশের অবকাঠামো ও শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।