যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা রাশিয়ার
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩, ০৫:৪৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে শনিবার রাতভর ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী রোববার ভোরে রাশিয়ার অন্তত ৪০টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
প্রায় ১৫ মাস আগে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর সাম্প্রতিক কালে রাশিয়া কিয়েভকে লক্ষ্য করে হামলা জোরদার করেছে। এমাসেই দশবারের মতো হামলা চালিয়েছে।
বলা হচ্ছে সর্বশেষ এই ড্রোন আক্রমণ ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কিয়েভের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো বলেছেন রাশিয়ার ছোঁড়া ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ একটি পেট্রোল স্টেশনের কাছে পড়লে এক ব্যক্তি নিহত হয়। এসময় আরো একজন নারী আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী বলছে সবমিলিয়ে রাশিয়া ৫৪টি কামিকাজে ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে, এবং ৫২টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন রাশিয়া এখন ইউক্রেনের রাজধানীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আজ রোববার সকালেও ইউক্রেনের উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১২টি এলাকায় বিমান হামলার সতর্ক সঙ্কেত বেজে ওঠে।
সোশাল মিডিয়াতে দেওয়া এক পোস্টে রাজধানী কিয়েভের মেয়র মি. ক্লিচকো তার শহরের বাসিন্দাদের ‘আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান’ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
কিয়েভের ওপর আরো সম্ভাব্য হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন সামনে আরো ‘কঠিন’ রাত অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, উপর থেকে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ রাজধানীর অন্তত দুটো বহুতল ভবনের ওপর পড়লে সেগুলোতে আগুন ধরে যায়।
কিয়েভের কর্মকর্তারা রাজধানীর দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকটি গুদাম-ঘরেও আগুন লাগার কথা জানিয়েছেন।
কয়েকজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা অভিযোগ করছেন কিয়েভের বাসিন্দারা যখন এই শহরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক তখনই রাশিয়া পরিকল্পিত এই আক্রমণ চালিয়েছে।
ইউক্রেন কয়েক মাস ধরেই রাশিয়ার ওপর পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করছে।
কিন্তু পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আধুনিক অস্ত্র এসে পৌঁছানো এবং সেগুলো ব্যবহারের বিষয়ে সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে তাদের পাল্টা হামলা শুরু করতে দেরি হচ্ছে।
এই পরিকল্পনাকে ইউক্রেনের জন্য বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউক্রেনের সম্ভাব্য এই অভিযান থেকেই প্রমাণ হবে আমেরিকা ও নেটো জোটের কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামাদি দিয়ে তারা যুদ্ধের মোড় কতোটা ঘুরিয়ে দিতে পারে।
একই সাথে ইউক্রেনের এই পাল্টা আক্রমণ মোকাবেলায় রাশিয়াও ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে তাদের দখল করে নেওয়া এলাকাগুলোতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে।
