সেদিনও ছিল শুক্রবার, সেটাও ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ১০:২৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভয়াবহ দুর্ঘটনা আগেও দেখেছে ভারতের মানুষ। জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসকেও কাগজের মণ্ডের মতো দলা পাকিয়ে যেতে দেখেছিলেন অনেকে। তবে করমন্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নতুন করে ভয় ধরাল ভারতবাসীর বুকে। যেভাবে বগির নিচে পিষে গেছে দেহ, যেভাবে রেললাইনের ধারে পড়ে রয়েছে সারি সারি মৃতদেহ, তা ভুলতে হয়তো সময় লাগবে অনেক। শুক্রবারের এই ঘটনা ১৪ বছর আগের আরও একটা শুক্রবারের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
সেদিনও ছিল শুক্রবার, সেটাও ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস: ২০০৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। সেদিনটাও ছিল শুক্রবার। চেন্নাইয়ের দিকেই যাচ্ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেই ওড়িশাতেই ঘটেছিল দুর্ঘটনা। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় ট্রেনের প্রায় ১৬টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে ছিল ১১টি স্লিপার ক্লাসের বগি ও বাকি ২টি জেনারেল ক্লাসের। বগিগুলো মূল ট্রেন থেকে ছিটকে বেরিয়ে গিয়েছিল। একটি বগি আর একটির ওপর উঠে গিয়েছিল। সেবারও সন্ধ্যায় ঘটেছিল দুর্ঘটনা। ওড়িশার জয়পুরে সেই দুর্ঘটনা এতটা ভয়াবহ না হলেও সেবার মৃত্যু হয়েছিল ১৬ যাত্রীর, আহত হয়েছিলেন ১৬১ জন।
১৪ বছর পর আরও একটি শুক্রবার। ২ জুন সন্ধ্যায় ফের দুর্ঘটনার মুখে পড়ল চেন্নাইগামী ট্রেনটি। তবে এবার ভয়াবহতা অনেক বেশি। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ট্রেনটি শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। বালেশ্বর স্টেশনের কাছে ট্রেনটির বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়। মালগাড়ির ওপরে উঠে যায় ট্রেনের ইঞ্জিন। শেষ খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২৯৫। ৬০০-র বেশি মানুষ আহত অবস্থায় বেশিরভাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এটিই সবচেয়ে বড় হলেও এবারই প্রথম দুর্ঘটনায় পড়ল না করমন্ডল এক্সপ্রেস। অতীতে এই ওড়িশায় একাধিকবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ‘কিং’।
২০০২ সালের ১৫ মার্চ: অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলার কাছে হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সাতটি কোচ। আহত হয়েছিলেন প্রায় ১০০ যাত্রী। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ওড়িশার লিঙ্গরাজ স্টেশনের কাছে চেন্নাই-হাওড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একটি কোচে আগুন ধরে গিয়েছিল। ইস্ট-কোস্ট রেলের এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, ইঞ্জিনের পর যে দুই নম্বর কোচ (জেনারেল কোচ) ছিল, তাতে আগুন ধরেছিল। তবে বড় কোনো বিপদ হয়নি। অন্য কোচে ছড়িয়ে পড়ার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছিল।
