‘নজিরবিহীন’ বন্যায় চীনের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৩, ১০:০৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভয়াবহ টাইফুনের কবলে পড়েছে এশিয়ার ৩ দেশ। ‘ডাকসুরি’ ও ‘তালিম’-এর পর তৃতীয় টাইফুনের রূপে আসে ‘খানুন’। তিনটি ঝড়ের সম্মিলিত প্রভাব লন্ডভন্ড করে দেয় এশিয়ার দেশ-চীন ও ফিলিপাইন।
সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতে ১৪০ বছরের রেকর্ড ভেঙে অথৈ জলে ভাসছে চীন। রাজধানী বেইজিংসহ দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ‘নজিরবিহীন’ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন সেখানকার জনজীবন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেইজিংয়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়। এতে নগরীর শহরতলী ও আশপাশের অনেক এলাকা তলিয়ে যায় এবং অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বন্যায় এখন পর্যন্ত চীনের উত্তরাঞ্চলে ১৪ জন এবং বেইজিং ও হেবেই প্রদেশে ৩৩জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে চারজন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও রয়েছেন। এছাড়া লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আনুমানিক ১০ লাখ মানুষ বন্যার ফলে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন।
চীনা সরকার বুধবার জানিয়েছে, উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় জিলিন প্রদেশ, বেইজিং ও হেবেইতে পরিস্থিতি ভয়াবহ। বেইজিংয়ের পশ্চিম উপকণ্ঠে কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যায় ৫৯ হাজার বাড়ি-ঘর ধসে গেছে। অন্যান্য প্রায় দেড় লাখ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে আনুমানিক ১৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি।
বন্যার ফলে চীনের লাখ লাখ হেক্টর ফসলি জমিন প্লাবিত হয়েছে। হেইলংজিয়াং প্রদেশে প্রায় ২৫টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে আশপাশের শস্যক্ষেতও নষ্ট হয়ে গেছে।
খবরে বলা হয়, হেইলংজিয়াং প্রদেশে প্রায় ৯০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। সাংজি প্রদেশে প্রায় ৪২ হাজার হেক্টর জমির ফসল বন্যার কারণে প্লাবিত। এছাড়াও উত্তরাঞ্চলীয় জিলিং ও লিয়াওনিং প্রদেশের লাখ লাখ হেক্টর জমি প্লাবিত।
যার ফলে আগামী বছর চীনের খাদ্য নিরাপত্তা সংকটে পড়তে পারে দাবি বিশ্লেষকদের।
গত সপ্তাহে চীনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, বন্যার ফলে চীনের কৃষি খাতে বিরাট প্রভাব ফেলবে।
হেনান প্রদেশের কর্তৃপক্ষের দাবি, চলতি বন্যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় গম উৎপাদনে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে।
গত সপ্তাহে টাইফুন ডাকসুরি আঘাত হানার পরই ব্যাপক বৃষ্টি ও বন্যা শুরু হয়। চীনের উত্তরাঞ্চলেও পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না। যা গত জুলাই থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দুর্ভোগে লাখ লাখ মানুষ।
