Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

১৯২৩ থেকে ২০২৩, দেশে দেশে ভূমিকম্পের থাবা

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৬ পিএম

১৯২৩ থেকে ২০২৩, দেশে দেশে ভূমিকম্পের থাবা

ভূমিকম্প পৃথিবীর অন্যতম ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়। যুগে যুগে এ দুর্যোগের ভয়াল থাবার শিকার হয়েছে অসংখ্য দেশ। ধ্বংস হয়ে গেছে বড় বড় ভবন-স্থাপনা। ধুলোয় মিশে গেছে হাজার হাজার মানুষের সহায়-সম্বল। অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে গোটা নগরী। ইট-পাথর-বালির নিচে পিষ্ট হয়ে মারা গেছে অগণিত মানুষ। তবে ভূমিকম্প সবচেয়ে ভয়ংকর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে গত এক শতাব্দীতে। আলজাজিরা। 

পৃথিবীপৃষ্ঠের লিথোস্ফিয়ারে সিসমিক তরঙ্গে সৃষ্ট কম্পনের ফলে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়। ১৯২৩ সালে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল জাপানের কান্টোতে। রিখটার স্কেলে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১,৪৩,০০০ জন নিহত হয়। 

এরপর ১৯৬০ সালে চিলির ভালদিবিয়ায় রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৯.৬। এখন পর্যন্ত এটিই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। 

বিংশ শতাব্দীতে গুরুতর ভূমিকম্পের নাম ছিল ‘ইন্ডিয়ান ওশান আর্থকোয়াক’। ভারত মহাসাগরের ভূমিকম্পটি সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক। প্রায় ২,২৭,৮৯৮ জন নিহত হয়েছিল সে বছর। 

২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রার পশ্চিম উপকূলে ৯.১ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। 

২০১০ সালে ৭.০ মেগাওয়াট মাত্রার একটি ভূমিকম্প হাইতিতে আঘাত হানে। হাইতির রাজধানী থেকে আনুমানিক ২৫ কিলোমিটার দূরে ওউয়েস্ট বিভাগের লিওগান শহরের কাছে ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূমিকম্পের ফলে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ২,২০,০০০ দাঁড়িয়েছিল। 

১২ মে, ২০০৮ সালে ৭.৯ মেগাওয়াট মাত্রার ভূমিকম্প চীনের সিচুয়ানে আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল প্রাদেশিক রাজধানী চেংদু থেকে ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিমে। এতে কমপক্ষে ৮৭,৫৮৭ জন মারা গেছে। এ ভূমিকম্পটি পাশাপাশি ব্যাংকক, থাইল্যান্ড হ্যানয় এবং ভিয়েতনামের মতো দূরেও অনুভূত হয়েছিল। 

২০০৫ কাশ্মীর ভূমিকম্পে মাত্রা ছিল ৭.৬। এ ঘটনায় ৮৬ হাজারেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল। এতে অসংখ্য লোক আহত হওয়ার পাশাপাশি লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। 

২০০৩ সালে ভূমিকম্প দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের কেরমান প্রদেশে আঘাত হানে। মাত্রা ছিল ৬.৬। এতে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৪ হাজার জন এবং ২,০০,০০০ জন আহত হয়েছিল। 

২০১১ সালে একটি ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্প উত্তর-পূর্ব জাপানে আঘাত হানে। 

২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কে। ৫০ হাজার ৭৮৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হন এক লাখ ১২ হাজার মানুষ। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম