আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে স্থবির পাকিস্তানের উন্নয়ন ব্যয়
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সরকার পরিবর্তন এবং বৈদেশিক ঋণের চক্রাকারে সুদ বৃদ্ধির কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে দেশটিতে উন্নয়নমূলক অনেক প্রকল্প স্থবির হয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ব্যয় হয়েছে মাত্র ২ হাজার ২৫০ কোটি, যেখানে বার্ষিক বাজেট বরাদ্দ ছিল ৯৫ হাজার কোটি।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, বিগত পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) সরকারের আমলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ও উন্নয়ন কার্যক্রমের (এসএপি) অধীনে বরাদ্দকৃত ১৪.৪ বিলিয়ন রুপি বাদ দেওয়ার পরও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪০ দিনে উন্নয়নমূলক কাজের ব্যয় ৮.১ বিলিয়ন রুপিতে নেমে এসেছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগেও ৮.১ বিলিয়ন রুপি দেশি-বিদেশি সকল চুক্তির বিধিনিষেধ মেনে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। যার মধ্যে পানি উন্নয়ন প্রজেক্টে ২.৮ বিলিয়ন। বিদ্যুৎ খাতে ১.৫ বিলিয়ন এবং ১.৪ বিলিয়ন তথ্য প্রযুক্তি খাতে ব্যয় করা হয়। বাকি ২.৪ বিলিয়ন রুপি কেন্দ্রীয় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগে ব্যয় করা হয়।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয় বার্ষিক উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দকৃত ৯৫০ বিলিয়ন রুপির মধ্য থেকে গত দুই মাসে মাত্র ১৩৫.৪ বিলিয়ন রুপির অনুমোদন দিয়েছে।
পরিকল্পনা বিভাগ ঘোষিত বিতরণ ব্যবস্থার আওতায় ফেডারেল বাজেটে বরাদ্দকৃত উন্নয়ন তহবিল প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ২০ শতাংশ, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এবং তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ৩০ শতাংশ এবং প্রতি অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) অবশিষ্ট ২০ শতাংশ হারে ছাড় করতে হবে।
তথ্য অনুযায়ী, পিডিএম সরকার অর্থবছরের প্রথম তিন সপ্তাহের মধ্যে সংসদ সদস্যদের এসএপি প্রকল্পের জন্য বাজেটে বরাদ্দ করা ৯০ বিলিয়ন টাকার প্রায় ৭০ শতাংশ (৬১.৩ বিলিয়ন টাকা) প্রকাশের অনুমোদন দিয়েছে।
ব্যাপক বন্যা এবং আইএমএফের সঙ্গে চুক্তির কারণে সরকার গত বছর সুদ পরিশোধে ঘাটতি এবং রাজস্ব হ্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে সেই অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) উন্নয়ন ব্যয় ৫০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশের ওপরে রাখার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন পরিকল্পনা করেছিল।
ফলস্বরূপ, টানা তৃতীয় বছরের মতো দেশটির অনুন্নত অবকাঠামো উন্নয়ন উল্লেখযোগ্য বাজেট হ্রাসের কারণে মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ হবে।
এমনকি সংসদ কর্তৃক বরাদ্দকৃত তহবিলেও বাজেট হ্রাস করতে হবে; যার ফলে অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো গুরুতর নেতিবাচক প্রভাবের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ইতোমধ্যে রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করা জনসংখ্যার জীবনযাত্রার মানকে আরও প্রভাবিত করবে।
