|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দখলদার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরান হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে হামলা না চালাতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলকে সহায়তা করতে মার্কিন দুটি রণতরী পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ইরানি হামলার আশঙ্কায় নতুন করে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য কোনো নির্দেশনা জারি না করলেও সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। একইসঙ্গে উত্তর সীমান্তে রিজার্ভ সেনা ডাকা হয়েছে। হামলার আশঙ্কায় সীমান্ত এলাকার ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
এছাড়া ইসরাইলে শিগগিরই হামলা চালাতে পারে ইরান, এমন আশঙ্কার মধ্যেই ইসরাইল ভূখণ্ডে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ।
আরও পড়ুন: ইসরাইলের পাশে দাঁড়ালে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে
আরও পড়ুন: উত্তেজনার মধ্যেই ইসরাইলে অর্ধশতাধিক রকেট হামলা চলিয়েছে হিজবুল্লাহ
গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরাইলের ভূখণ্ডে ৫০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানায় ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
ইরান যেমন সামরিকভাবে শক্তিশালী। ঠিক একইভাবে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও প্রযুক্তির দিক থেকে ইসরাইল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ।
তবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় শক্তি বলে উল্লেখ করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র বহরে রয়েছে নানা ধরনের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র। এমন ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে, যেটি সরাসরি ইরসাইলে আঘাত হানতে সক্ষম। বিশেষত ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র উল্লেখযোগ্য। এগুলো হলো-
খোররামশহর-৪ ক্ষেপণাস্ত্র (খাইবার)
এটির গতি বায়ুমণ্ডলের বাইরে ১৬ ম্যাক এবং বায়ুমণ্ডলের ভেতরে ৮ ম্যাক। যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রের গতিকে ম্যাক স্কেলে হিসাব করা হয়। যেখানে ১ ম্যাক হলো ঘণ্টায় গতি ১ হাজার ২৩৪.৮ কিলোমিটার।
সে হিসেবে বায়ুমণ্ডলের বাইরে খোররামশহর-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের গতি ১৯ হাজার ৭৫৬ কিলোমিটার। অন্যদিকে বায়ুমণ্ডলের ভেতরে গতি দাঁড়ায় ৯ হাজার ৮৭৮ কিলোমিটার। ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন ৩০ টন, আর পাল্লা ২ হাজার কিমি। দৈর্ঘ্য: ১৩ মিটার, ব্যাস: ১.৫ মিটার।
হাজি কাসেম ক্ষেপণাস্ত্র
এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতি ৫ ম্যাক অর্থাৎ ৬ হাজার ১৭৪ কিলোমিটার। ওজন ৭ টন। পাল্লা ১ হাজার ৪০০ কিমি, দৈর্ঘ্য ১১ মিটার। এটিও নির্দ্বিধায় ইসরায়েলের ভেতরে আঘাত হানতে সক্ষম।
খায়বার শেকান ক্ষেপণাস্ত্র
এটির গতি ঘণ্টায় ৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি। ওজন ৪ হাজার ৫০০ কেজি। পাল্লা ১ হাজার ৪৫০ কিমি। দৈর্ঘ্য ১০.৫ মিটার। এটিরও আঘাত হানার সক্ষমতা রয়েছে।
সিজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্র
সিজ্জিলের গতি ১২ থেকে ১৪ ম্যাক বা ঘণ্টায় ১৭ হাজার কিলোমিটারের বেশি। ওজন ২৩ টন। পাল্লা ২ হাজার ৫০০কিমি। দৈর্ঘ্য ১৭.৫৭ মিটার।
পাভে ক্ষেপণাস্ত্র
এটির গতি ঘণ্টায় ৬০০ থেকে ৯০০ কিমি। পাল্লা ১ হাজার ৬৫০ কিমি।
ফাত্তাহ-২ ক্ষেপণাস্ত্র
এটির গতিও ৫ ম্যাক। ওজন সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ১০০ কেজি। পাল্লা ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটারের বেশি, দৈর্ঘ্য ১২ মিটার।
কদর ক্ষেপণাস্ত্র (ট্রিপল)
কদর ক্ষেপণাস্ত্রের গতি প্রায় ৯ ম্যাক। পাল্লা ১ হাজার ৯৫০ কিমি পর্যন্ত। ওজন ১৭ হাজার ৪৮০ কেজি পর্যন্ত।
এমাদ ক্ষেপণাস্ত্র
এই ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন ১ হাজার ৭৫০ কেজি। পাল্লা প্রায় ১ হাজার ৭০০ কিমি।
শাহাব-৩ ক্ষেপণাস্ত্র
এর পাল্লা প্রায় ২ হাজার কিমি। দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ মিটার। ওজন ১ হাজার ৭৮০ কেজি।
সূত্র: সিএনএন ও এনডিটিভি
