রাশিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণার পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটিকে ‘অবাঞ্ছিত সংস্থা’ হিসেবে ঘোষণা করে রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেল দপ্তর সোমবার জানায়, অ্যামনেস্টি রুশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে দেশটির নিরাপত্তা ও স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলছে।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউক্রেনের কথিত অপরাধগুলোর পক্ষে সাফাই গেয়েছে এবং রাশিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস কালামার বলেন, আপনি যদি সঠিক কাজ করে থাকেন, তবে ক্রেমলিন আপনাকে নিষিদ্ধ করবেই। রুশ সরকারের এই পদক্ষেপ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনের আরেকটি নিদর্শন।

তিনি আরও জানান, রাশিয়ায় এবং বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের লঙ্ঘন উদঘাটনে আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা হবে। অ্যামনেস্টি কখনও পিছু হটবে না।

রাশিয়ার আইনে ‘অবাঞ্ছিত সংস্থা’ ঘোষণার ফলে রাশিয়ার নাগরিকরা যদি অ্যামনেস্টির সঙ্গে কাজ করেন বা অর্থায়ন করেন, তবে তাঁদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এর আগে গ্রীনপিস এবং রেডিও ফ্রি ইউরোপসহ একাধিক পশ্চিমা সংস্থাকে নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া।

অ্যামনেস্টির দাবি, রাশিয়ার এই আইন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে এবং তিন বছর আগেই রাশিয়া তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ বন্ধ করেছে ও মস্কো অফিস কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে।

রাশিয়া বলছে, পশ্চিমা মানবাধিকার সংস্থাগুলো পক্ষপাতদুষ্ট ও রাশিয়াবিরোধী প্রচারে লিপ্ত। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনে দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ধ্বংস হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, যা বিশ্বব্যাপী বন্দিদের অধিকারের পক্ষে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য কাজ করে আসছে।