Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

চীনে নতুন করোনাভাইরাস, মহামারি সৃষ্টির আশঙ্কা

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১০:১৪ পিএম

চীনে নতুন করোনাভাইরাস, মহামারি সৃষ্টির আশঙ্কা

চীনে শনাক্ত একটি নতুন করোনাভাইরাস মাত্র একটি ছোট জেনেটিক পরিবর্তনের দূরত্বে রয়েছে, যা ঘটলেই এটি আরেকটি বৈশ্বিক মহামারি সৃষ্টি করতে পারে বলে সম্প্রতি সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা আশঙ্কা করছেন, ফেব্রুয়ারিতে চীনে শনাক্ত হওয়া এইচকেইউ৫-কভ২ মানুষের শরীরেও সংক্রমণ ঘটাতে পারে এবং এর ফলে ব্যাপক মহামারি দেখা দিতে পারে। খবর দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের। 

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ‘এইচকেইউ৫-কভ২’ নামের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি কোভিড-১৯-এর তুলনায় আরো বিস্তৃত পরিসরে প্রাণীদের সংক্রমিত করতে সক্ষম এবং বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর সক্ষমতাও বেশি।

সম্প্রতি নেচার কমিউনিকেশনসে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের কম পরিচিত গ্রুপ মারবেকোভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে এইচকেইউ৫ ও মারাত্মক মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা মার্স-কভ ভাইরাস।

ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা নতুন এই ভাইরাসটি কিভাবে মানবকোষের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে, তা পরীক্ষা করেছেন। 

তারা দেখতে পান, ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিনে মাত্র একটি ছোট পরিবর্তন ঘটলেই এটি মানুষের গলা, মুখ ও নাকের এএসি২ কোষের সঙ্গে সংযুক্ত হতে সক্ষম হবে। এইচকেইউ৫-কভ২ ভাইরাসটি মানুষের শ্বাসতন্ত্র ও অন্ত্রের কোষে সংক্রমণ ঘটিয়ে সেখানে সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মার্সে আক্রান্ত মানুষের প্রায় ৩৫ শতাংশের মৃত্যু ঘটে।

২০১২ সাল থেকে অন্তত ২৭টি দেশে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং এতে অন্তত ৮৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাস উট থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছিল। 

তবে যখন ফেব্রুয়ারিতে এইচকেইউ৫ শনাক্ত হয়, তখন বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেন, ঝুঁকি বাড়িয়ে দেখানো ঠিক হবে না, কারণ এটি কোভিড-১৯ সৃষ্টি করা সার্স-কভ-২-এর মতো সহজে মানবকোষে প্রবেশ করতে পারে না।

এইচকেইউ৫ প্রথমে বাদুড়ের শরীরে শনাক্ত হয়, যেটি সেই চীনা গবেষণাগার থেকেই পাওয়া, যে গবেষণাগারকে ২০১৯ সালে কোভিডের উৎসস্থান হিসেবে অনেকেই সন্দেহ করেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম