ইরানে হামলার পর ইসরাইলজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ০৭:৫৮ এএম
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইরানে হামলা চালানোর পর জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইসরাইল। ইরানের পালটা হামলার আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে তেল আবিব। খবর বিবিসির।
এদিকে পালটা হামলার আশঙ্কায় জেরুজালেমে সাইরেন বাজতে দেখা গেছে।
ইসরাইল জানিয়েছে, তেহেরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা ঠেকাতে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অঞ্চলে ইসরাইলের হামলা চালানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ইসরাইল এ হামলাকে ‘রাইজিং লায়ন’ নাম দিয়েছে। ইরানের কমান্ডার এবং ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর পালটা হামলার আশঙ্কায় সারা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রেকর্ডকৃত এক ভিডিও বার্তায় জানান, ‘আমরা ইসরাইলের ইতিহাসের একটি নির্ণায়ক মুহূর্তে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরাইল একটি অভিযানে ইরানের পারমাণবিক বোমা নির্মাণে যুক্ত বিজ্ঞানী, তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং নাতাঞ্জের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং এই অভিযান আরও কয়েক দিন চলবে।’
নাতাঞ্জ শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ওই স্থাপনার কাছে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে এক জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘দেশের শীর্ষ নেতারা একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈঠক বসেছেন।’
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, তেহরানে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং দেশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, ইরানের ‘ডজনখানেক’ পারমাণবিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইরানের কাছে এমন পরিমাণে উপাদান আছে, যা দিয়ে তারা কয়েক দিনের মধ্যেই ১৫টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পারে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কার্টজ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসরাইল রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরানের ওপর পূর্ব প্রতিরোধমূলক হামলার পর, ইসরাইল ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা অবধারিত।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ইসরাইল এককভাবে এ হামলা চালিয়েছে। কারণ তারা (ইসরাইল) মনে করে এই হামলা তাদের আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল।
এক বিবৃতিতে রুবিও আরও বলেন, ‘আজ রাতেই ইসরাইল একতরফাভাবে ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা এই হামলায় জড়িত নই এবং আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার হলো অঞ্চলজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে জানাচ্ছি- ইরানের উচিত নয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বা কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করা।’

