জেনারেল হোসেইন সালামি। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইরানের রাজধানী তেহরান এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। শুক্রবার ভোরে চালানো এই হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত।
১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে কর্মজীবনে প্রবেশ করার পর সালামি আইআরজিসিতে যোগ দেন। সেই বছর তিনি আইআরজিসির ইসফাহান শাখায় যোগ দেন এবং ইরানি কুর্দিস্তান থেকে ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।
ইরান-ইরাক যুদ্ধ শেষে, সালামি ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান সেনাবাহিনীর স্টাফ কলেজ থেকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আইআরজিসি জয়েন্ট স্টাফ অফ অপারেশন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত সালামির ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে সালামি যিনি তৎকালীন আইআরজিসির বিমান বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন তার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
মার্কিন প্রশাসন ২০০৭ সালের অক্টোবরে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সালামির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২১ সালে সালামি এবং আরও সাতজন ইরানি কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
তিন বছর আইআরজিসি বিমান বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০০৯ সালে সালামিকে আইআরজিসির ডেপুটি কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। ২০১৯ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি সালামিকে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত করেন এবং তাকে আইআরজিসির সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত করেন।
২০২৪ সালে ইরান যখন ইসরাইলের ওপর সরাসরি সামরিক হামলা চালায় তখন রেভ্যুলুশনারি গার্ডের প্রধান ছিলেন হোসেন সালামি।
সম্প্রতি ইরান ও ইসরাইলে মধ্যে বেশ উত্তেজনা দেখা যায়। উভয়ই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও একে অপরকে হুমকি দিতে থাকে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সালামি বলেন, যে কোনো পরিস্থিতির জন্য ইরান প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, ইসরাইলের ধারণা তারা নিরীহ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করে আমাদের সঙ্গেও একইভাবে লড়াই করতে পারবে। তবে তা সম্ভব নয়। আমরা যুদ্ধে অভিজ্ঞ।
সূত্র: বিবিসি।

