হোয়াইট হাউসে আকস্মিক নিরাপত্তা দলের বৈঠক ডেকেছেন ট্রাম্প
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ও ইসরাইলের মাঝে টানা চতুর্থ দিনের মতো হামলা পালটা হামলা চলছে। আঞ্চলিক এই সংঘাতে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলোও জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ইরানের চালানো নতুন হামলার জেরে দখলদার ইসরাইলজুড়ে বাজছে সতর্কতামূলক সাইরেন। এ সময় ইসরাইলিরা আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটে যেতে থাকেন। ইরানের বিপ্লবী গার্ড এরআগে ইসরাইলে বড় হামলার হুমকি দিয়েছিল।
তবে মঙ্গলবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৭টার দিকে যে হামলা চালায় সেটি কত বড় সেটি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, তেলআবিব, মধ্য ইসরাইল, আশোদ এবং আশকেলনেও সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে উঠে।
এদিকে হোয়াইট হাউসের ‘সিচুয়েশন রুমে’ আকস্মিক নিজের জাতীয় নিরাপত্তা দলের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ জুন) কানাডায় জি-৭ সম্মেলনে ছিলেন ট্রাম্প। সেখানে সফর সংক্ষিপ্ত করে তিনি দেশে ফিরে যাচ্ছেন। এরমধ্যেই নিরাপত্তা দলের বৈঠক ডেকেছেন তিনি।
এর আগে ট্রাম্প ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে সব বাসিন্দাকে চলে যেতে বলেন। তার এমন বিবৃতি ও নিরাপত্তা দলের বৈঠক ডাকার মাধমে শঙ্কা তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ইরান ও দখলদার ইসরাইলের যুদ্ধে জড়িত হতে পারে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র যেন এই যুদ্ধে জড়িত না হয় সেজন্য ইতোমধ্যে আটজন সিনেটর ভেটো দিয়েছেন।
ইরানের রাজধানী তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সোমবার রাত ও মঙ্গলবার মধ্যরাতে দখলদার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে দুই দফা মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। এর কিছুক্ষণ পরই দেশটির রাজধানীতে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে ইসরাইলিরা হামলা চালাচ্ছে।
বার্তাসংস্থা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তেহরানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও বেশ সক্রিয় করা হয়েছে। ইরানি বার্তাসংস্থা ফার্স নিউজও একই তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছে, এ মুহূর্তে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে। বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে তেহরানের পূর্ব পাশে। মধ্য ইরানের নানতাজেও আকাশ প্রতিরক্ষা সক্রিয় হয়েছে। সেখানে দেশটির অন্যতম বড় পরমাণু কেন্দ্র অবস্থিত। গত শুক্রবার ইরান এখানে হামলা চালিয়েছিল। নানতাজে মাটির অনেক গভীরে পরমাণু কেন্দ্রটি অবস্থিত। শক্তিশালী বোমা যেন ক্ষতি করতে না পারে সেভাবে এটি বানানো হয়েছে।
