Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক মহলের ‘লজ্জাজনক নীরবতা’

গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে সাড়ে ৬ লাখ শিশু

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৮ এএম

গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে সাড়ে ৬ লাখ শিশু

ইসরাইলি বাহিনী গাজার সব ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে, ফলে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। ফাইল ছবি

টানা ১০৩ দিনের সম্পূর্ণ ইসরাইলি অবরোধে চরম মানবিক সংকটে পড়েছে গাজা উপত্যকা। এর মধ্যে অঞ্চলটির প্রশাসন সতর্ক করেছে, গাজায় ৬ লাখ ৫০ হাজার শিশুসহ শত শত মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি, আর এ পরিস্থিতির মধ্যেই চলছে ‘লজ্জাজনক আন্তর্জাতিক নীরবতা’। শনিবার আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বর্তমানে ‘দুর্বিষহ ক্ষুধার্ত অবস্থায়’ দিন পার করছে।

প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, ইসরাইলি বাহিনী গাজার সব ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে, ফলে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। বিবৃতিতে এই পদক্ষেপকে ‘আধুনিককালের অন্যতম ভয়াবহ সমষ্টিগত অবরোধের অপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

জরুরি খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতিতে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গত তিন দিনে আমরা খাদ্য ও ওষুধের অভাবে বহু মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্ত করেছি, যা এক নির্মম মানবিক বিপর্যয়ের প্রতিচ্ছবি।’

কর্মকর্তাদের বরাতে আরও বলা হয়েছে, ইতোমধ্যেই ৬৭ শিশু দুর্ভিক্ষে মারা গেছে, যা প্রমাণ করে যে, অবরোধে সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে শিশুদের ওপর।


এদিকে গাজায় ‘জাতিগত নিধন’ বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৬০ জন ব্রিটিশ লেবার এমপি। 

লেবার ফ্রেন্ডস অব ফিলিস্তিন অ্যান্ড দ্য মিডল ইস্ট-এর আয়োজিত চিঠিটি বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির কাছে পাঠানো হয়। এতে লেবার পার্টির মধ্যপন্থি ও বামঘরানার ৫৯ জন এমপি স্বাক্ষর করেছেন।

এমপিরা গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহর ধ্বংসস্তূপে ত্রাণের অজুহাতে তাবু শহর গড়ে তোলার ইসরাইলি পরিকল্পনা বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা হুঁশিয়ারি দেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জোরপূর্বক স্থানান্তর এবং তাদের উপস্থিতি মুছে ফেলার শামিল হবে।

ঘটনাপ্রবাহ: হামাস ইসরাইল যুদ্ধ


আরও পড়ুন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম