ভারতীয় নারীর রহস্যময় চুরি নিয়ে তোলপাড়, যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
ছবি: এনডিটিভি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যে একটি ডেইলি শপিং স্টোর থেকে এক ভারতীয় নারী প্রায় ১.১ লাখ টাকার (প্রায় ১৩০০ ডলার) পণ্য চুরি করে পালানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। এ নিয়ে মার্কিন দূতাবাস ভারতসহ বিদেশি ভ্রমণকারীদের উদ্দেশ্যে ভিসা বাতিল ও ভবিষ্যতে ভিসা অযোগ্যতার হুঁশিয়ারি দিয়ে একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে।
কী ঘটেছিল?
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইলিনয় রাজ্যের ওই সুপার শপে গত ১ মে ওই ভারতীয় নারী ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় কাটিয়ে নানা পণ্য তুলে নেন। এরপর তিনি কোনো টাকা পয়সা না মিটিয়েই পশ্চিম গেট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
একজন কর্মচারী বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে চ্যালেঞ্জ করলে ঘটনাটি ভাইরাল হয় এবং পরে পুলিশের বডিক্যাম ফুটেজ সামনে আসে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ওই কর্মী বলছেন, ‘আমরা দেখেছি, এই মহিলা দোকানে ৭ ঘণ্টা ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। বিভিন্ন জিনিস নিচ্ছিলেন, ফোন দেখছিলেন, কিন্তু শেষে কিছু না মিটিয়েই বেরিয়ে যাচ্ছিলেন’।
ভারতীয় ওই নারী পুলিশকে বলেন, তিনি পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে চাইছিলেন, কিন্তু ততক্ষণে তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনার দেশে জিনিস চুরি করা কি বৈধ? আমার তো মনে হয় না’।
বর্তমানে ওই নারী চুরির অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত। যদিও এখনো তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মার্কিন দূতাবাসের ভিসা সংক্রান্ত সতর্কতা
এদিকে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ভিসা সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে হামলা, চুরি বা ডাকাতির মতো অপরাধ শুধু আইনি জটিলতাই তৈরি করে না – এতে আপনার ভিসা বাতিল হতে পারে এবং ভবিষ্যতে ভিসা পাওয়ার অযোগ্যও করে তুলতে পারে’।
‘মার্কিন নাগরিকেরা আইন-শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং প্রত্যাশা করে, বিদেশি দর্শনার্থীরাও সেই আইন মেনে চলবেন’।
চুরির শাস্তি কীভাবে প্রভাব ফেলে?
US Code অনুযায়ী- চুরি, জালিয়াতি, ডাকাতি বা অবৈধ প্রবেশের মতো অপরাধ দেশটির বিভিন্ন রাজ্য ও ফেডারেল আইনে দণ্ডনীয়। এসব অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে শুধু জেল নয়, ভবিষ্যতে ভিসা আবেদন ও পুনঃপ্রবেশও বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
মূলত এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মার্কিন দূতাবাসের সতর্কতা স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, বিদেশে আইন ভাঙলে শুধু আইনি ঝুঁকি নয়, পাসপোর্ট বা ভিসা সম্পর্কেও গুরুতর পরিণতি হতে পারে।
বিশেষত ছাত্র, পর্যটক বা অভিবাসনের আশায় থাকা ভারতীয়দের জন্য এটি সতর্কবার্তা।
