ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়েই যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইসরাইল!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম
ফাইল ছবি।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রী সাইয়্যেদ ইসমাইল খতিব বলেছেন, তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কার্যকারিতার কারণে ইসরাইলি সরকার যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
শহীদ মেহদী রব্বানী এবং গোলামরেজা মেহরাবীর স্মরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। খবর বার্তা সংস্থা মেহের’র।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর কার্যকর ক্ষেপণাস্ত্র যেমন তাদের যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য করেছিল, তেমনি সমস্ত গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানও চাপ প্রয়োগ করছে। সাম্প্রতিক দিনগু দিনগুলোতে আপনার দেখেছেন যে ইহুদিবাদী সরকারে গোয়েন্দা অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের কীভাবে ন্যায্য পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শত্রুরা যেসব বিদ্রোহের পরিকল্পনা করেছিল - অথবা যাকে তারা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সমাপ্তি বলে অভিহিত করেছিল - তা সত্ত্বেও আমরা ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইরানে সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রত্যক্ষ করেছি।’
ড্রোন এবং এমএভি ইস্যু সম্পর্কে খতিব বলেন, ‘এই বিষয়গুলো সামরিক অবস্থার সাথে সম্পর্কিত এবং বিমান প্রতিরক্ষা কৌশলের ওপর নির্ভর করে। দেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী তাদের মোকাবেলা করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে।’
গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে ইসরাইল। ১২ দিনের এই আগ্রাসনে ইসরাইলকে সমর্থন জানিয়ে গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতানজ, ফোরদো এবং ইসফাহানে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক আক্রমণ চালায়।
ইসরাইলি আগ্রাসনের পরপরই ইরানি সামরিক বাহিনী শক্তিশালী পাল্টা আক্রমণ চালায়। ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস অ্যারোস্পেস ফোর্স অপারেশন ট্রু প্রমিজ ৩-এর অংশ হিসেবে ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ২২টি প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার ফলে অধিকৃত অঞ্চলের শহরগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এছাড়া মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানি সশস্ত্র বাহিনী কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি।
