যুদ্ধবিমান নিয়ে ট্রাম্পের দাবির পর মোদির কাছে ব্যাখ্যা চাইলেন রাহুল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
নরেন্দ্র মোদি, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাহুল গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেছেন, ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক যুদ্ধের সময় পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছিল। এই মন্তব্যের পর ভারতের বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সরাসরি জবাবদিহি চেয়েছেন।
শনিবার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘মোদি জি, পাঁচটি [বিমান] সম্পর্কে আসল সত্য কী? দেশবাসীর জানার অধিকার রয়েছে!’
পাকিস্তানের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত এই সংঘর্ষে ভারতের ব্যর্থতার পর মোদি সরকারের ওপর বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা চলছে।
এপ্রিলে ভারতের অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে এক জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ওই হামলার পর পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। ভারত ‘উস্কানিমূলক’ হামলা চালালে ইসলামাবাদ তা কঠোরভাবে প্রতিহত করে। এরপর ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এক অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা আকাশে সংঘর্ষে ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তা মে মাসের শেষ দিকে জানান, সংঘাতের প্রথম দিনেই আকাশে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে ভারত কৌশল পরিবর্তন করে এবং অস্ত্রবিরতির আগে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করে।
হোয়াইট হাউসে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে নৈশভোজে ট্রাম্প বলেন, ‘বিমানগুলো আকাশেই গুলি করে নামানো হয়েছিল। পাঁচটি, পাঁচটি—চার অথবা পাঁচটি, তবে আমি মনে করি পাঁচটি যুদ্ধবিমানই ভূপাতিত হয়েছিল।’
এর আগেও ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের পর ১০ মে তার মধ্যস্থতায়ই অস্ত্রবিরতি হয়েছে। ওই দিন যুক্তরাষ্ট্র দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে ট্রাম্প নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেন।
তবে নয়াদিল্লি ট্রাম্পের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতের অবস্থান হলো- ইসলামাবাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা তারা বাইরের কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করতে চায়।
এশিয়ায় চীনের প্রভাব প্রতিহত করতে ভারত এখন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারে পরিণত হয়েছে, অন্যদিকে পাকিস্তানও যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র।
কাশ্মীরে এপ্রিলের হামলার পর দুই দেশের মধ্যে ফের চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। ভারত এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ সে অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
