ওবামার ‘গ্রেফতার’ এআই ভিডিও প্রকাশ করলেন ট্রাম্প, সমালোচনার ঝড়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ১০:২২ এএম
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশ করা ওমাবাকে ‘গ্রেফতারের’ এআই ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট। ছবি: এক্স
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ট্রুথ সোশ্যালে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি-নির্ভর ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে গ্রেফতার করছে। ভিডিওটি প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
ভিডিওতে কী দেখা গেছে?
ভিডিওর শুরুতে বারাক ওবামার একটি উক্তি শোনা যায়, ‘বিশেষত প্রেসিডেন্টই আইনের ঊর্ধ্বে।’ পরে একাধিক মার্কিন রাজনীতিকের বক্তব্য দেখানো হয়, যেখানে বলা হয়, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’ এরপর ভিডিওটি এআই-তৈরি দৃশ্যে পরিবর্তিত হয়, যেখানে দুই এফবিআই এজেন্টকে ওবামার হাতে হ্যান্ডকাফ পরাতে দেখা যায়, আর ওভাল অফিসে ট্রাম্পকে বসে থাকতে এবং হাসতে দেখা যায়।
ভিডিওর শেষাংশে দেখা যায়, কমলা রঙের কারাগারের পোশাক পরে ওবামা জেলের ভেতর দাঁড়িয়ে আছেন।
#DonaldTrump shared an AI-generated video showing the former President Barack Obama being arrested by the FBI inside the White House Oval Office. The video, posted by Trump on his Truth Social platform, has gone #viral.https://t.co/tNYTebs3hx
কোনো সতর্কবার্তা দেননি ট্রাম্প
ভিডিওটি যে কৃত্রিমভাবে তৈরি এবং কাল্পনিক, সেই বিষয়ে কোনো সতর্কবার্তা বা ব্যাখ্যা ট্রাম্পের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। সমালোচকরা ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।
ওবামার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিযোগ
এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার বিরুদ্ধে ‘উচ্চপর্যায়ের নির্বাচনী জালিয়াতি’র অভিযোগ তুলেছিলেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের (ডিএনআই) পরিচালক তুলসি গাবার্ড দাবি করেছেন, ২০১৬ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে ট্রাম্প-রাশিয়া যোগসাজশের ষড়যন্ত্র ‘সাজিয়েছিল’ ওবামা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা, যাতে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিকে বাধাগ্রস্ত করা যায়। তিনি বলেছেন, ওবামা প্রশাসনের তৎকালীন কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
গোয়েন্দা বিভাগের প্রতিবেদন কী বলছে?
তবে জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের (ওডিএনআই) প্রকাশিত ১১৪ পৃষ্ঠার এক নথিতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের নভেম্বর নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করেছিল যে রাশিয়া ‘সম্ভবত সাইবার হামলার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলতে চায়নি।’
নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বরের প্রেসিডেন্টের দৈনিক ব্রিফে বলা হয়েছিল, রাশিয়া ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলতে সাইবার আক্রমণ পরিচালনা করেনি।’

