স্বচ্ছতার লক্ষ্যে তোষাখানা রেকর্ড ডিজিটালাইজেশনের সিদ্ধান্ত পাকিস্তান সরকারের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম
এরই মধ্যে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত উপহারগুলোর রেকর্ড ক্যাবিনেট ডিভিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সরকারি কর্মকর্তারা যে উপহার গ্রহণ করেন, তা সংরক্ষণের জন্য নির্ধারিত তোষাখানা ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান সরকার রেকর্ড ডিজিটালাইজ করার উদ্যোগ নিয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এ লক্ষ্যে একটি বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়েছে। তোষাখানা বিধিমালাসংক্রান্ত সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রিসভা কমিটি, যা শিগগিরই অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পেশ করা হবে।
শনিবার (২৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সামা টিভি।
নতুন ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে তোষাখানার সম্পদের ট্র্যাকিং, ট্রেসিং ও নিরীক্ষা সহজ হবে। সম্প্রতি তোষাখানা কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্যোগকে স্বচ্ছতা আনার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে দেশটির সরকার।
পাকিস্তান ক্যাবিনেট ডিভিশনের তথ্যমতে, ডিজিটাল রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য যে ইনভেন্টরি অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি হয়েছে, তা পাঞ্জাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় উন্নয়ন করা হয়েছে।
অটোমেটেড তোষাখানা সিস্টেমটি শিগগিরই চালু হবে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত উপহারগুলোর রেকর্ড ক্যাবিনেট ডিভিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে হওয়া তোষাখানা মামলার প্রেক্ষাপট। ২০২২ সালে প্রকাশ্যে আসে, ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি তোষাখানা থেকে উপহার গ্রহণ করে তা বিক্রি করেছেন এবং সেই অর্থ আয়ের তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে গোপন করেছেন। এরপর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন তাকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করে এবং মামলার মুখোমুখি হতে হয়।
২০২৩ সালে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তাকে তোষাখানা দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে, যদিও পরবর্তী সময়ে সেই রায় স্থগিত করা হয়। এই মামলা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বড় ধাক্কা হয়ে আসে এবং তোষাখানা ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও জনমনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়।
নতুন এই ডিজিটাল পদক্ষেপকে অনেকে সংস্কারমূলক উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন। সরকার বলছে, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ভবিষ্যতে তোষাখানাকে কেন্দ্র করে এ ধরনের অনিয়ম ও গোপনীয়তা রোধ করা সম্ভব হবে। যদিও পিটিআই দাবি করে আসছে, রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই তোষাখানা ষড়যন্ত্রে ফাঁসানো হয়েছে ইমরান খানকে।

