তেল উত্তোলন বাড়ানোর ঘোষণা ওপেক প্লাসের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০২:১৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
তেল উত্তোলন বাড়ানোর সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে ওপেক প্লাস জোটের সদস্যরা। রোববার (৩ আগস্ট) এ ঐকমত্যে পৌঁছায় জোটটি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে দৈনিক ৫ লাখ ৪৭ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন করবে তারা। খবর সিএনএনের।
মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, রাশিয়ার তেলে
পশ্চিমাদের খড়গের জেরে বাজারে প্রভাব পড়তে পারে। এমতাবস্থায় তেল উত্তোলন বাড়ানো সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়েছে।
রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার
টেবিলে আনতে বেশ মরিয়া ওয়াশিংটন। যুদ্ধ শুরুর
পর রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করছে ভারত। বিষয়টি নিয়ে তেমন খুশি নয় যুক্তরাষ্ট্র। তারা দিল্লিকে
তেল কিনতে বারণ করলেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে মোদি সরকার। এমতাবস্থায় রোববার
ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসে ওপেক প্লাসের সদস্যরা।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে জোটটি বলছে, অর্থনীতির
ভালো অবস্থান নিশ্চিত ও কম মজুতের কারণে তেল উত্তোলন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওপেক প্লাসের তেল উত্তোলন বাড়ানোর খবরে
জ্বালানিটির দামে কোনো তারতম্য দেখা যায়নি। শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল বা অপরিশোধিত
তেল প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৭০ মার্কিন ডলারে, যা গত এপ্রিলে ছিল ৫৮ ডলার। চাহিদা বাড়ায় তেলের দাম এপ্রিলের তুলনায় বেড়েছে
বলে জানিয়েছে সিএনএন।
লন্ডনভিত্তিক সংগঠন এনার্জি অ্যাসপেক্টসের
সহপ্রতিষ্ঠাতা অমৃতা সেন বলেন, ‘৭০ ডলারে প্রতি ব্যারেল তেল বিক্রি ওপেক প্লাস সদস্যদের
আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। বাজারের কাঠামোও কম
মজুতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।’
ওপেক প্লাসের বৈঠকে থাকা দুটি সূত্র জানিয়েছে,
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ফের বৈঠকে বসবে জোটটির আট সদস্য। ওই বৈঠকে তেল উত্তোলনে কাঁটছাঁটের বিষয়ে কথা হতে
পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বৈঠকে প্রতিদিন
এক দশমিক ৬৫ ব্যারেল তেল উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ও তাদের
সহযোগীরা ওপেক প্লাস হিসেবে পরিচিত। এ জোটে
এমন ১০টি দেশ রয়েছে যারা কি না ওপেক জোটে নেই।
এ জোটটির দেশগুলো বিশ্বের প্রায় অর্ধেক তেল উৎপাদন করে। গত কয়েক বছর ধরে তেলের
দাম স্থিতিশীল রাখতে কাজ করেছে জোটটি।
ওপেক প্লাসের আটটি দেশ গত এপ্রিলে দৈনিক
এক লাখ ৩৮ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন করেছিল। তবে, পরের মাসগুলোতে ধীরে ধীরে উত্তোলন
বাড়াতে থাকা তারা। মে, জুন ও জুলাই মাসে পরিকল্পনার
চেয়ে বেশি অর্থাৎ, দৈনিক চার লাখ ১১ হাজার ব্যারেল করে উত্তোলন করে দেশগুলো। আগস্টে
তা বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ লাখ ৪৮ হাজার ব্যারেলে। এখন সেপ্টেম্বরের জন্য নির্ধারিত হয়েছে
পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার ব্যারেল।
