কাশ্মীরিদের সংগ্রামে সংহতি জানিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
কাশ্মীর ‘ইয়ুম-ই-ইস্তেহসাল’ উদযাপন করল ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভারত-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশে ‘ইয়ুম-ই-ইস্তেহসাল’ বা ‘শোষণ দিবস’ উপলক্ষে ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাই কমিশন আজ একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের সদস্য, কূটনীতিক ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহবাজ শরীফ এবং উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারের পক্ষ থেকে পাঠানো বার্তা উপস্থাপন করা হয়। তারা বার্তায় অবৈধ দখলদারিত্ব, দমন-পীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের ন্যায্য সংগ্রামের প্রতি পাকিস্তানের দৃঢ় রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর সংকটের ন্যায়সঙ্গত সমাধান পাকিস্তানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম ভিত্তি। ৫ আগস্ট ২০১৯ সালে ভারতের একতরফা ও অবৈধ সিদ্ধান্ত বাতিল, মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ এবং দমনমূলক আইন প্রত্যাহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলিষ্ঠ ভূমিকা নিতে হবে। একই সঙ্গে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুসারে কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে।’
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারি তার বার্তায় সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের অপারেশন বুনিয়ান আম মারসুস-এর সাফল্যকে ‘জাতীয় গৌরবের মুহূর্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি আইআইওজেকের জনগণের বৈধ অধিকার প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অপারেশন ‘বুনিয়ান আম মারসুস’ ও ভারতীয় বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি, কাশ্মীরিদের সংগ্রামকে তুলে ধরতে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীও আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মুহাম্মদ ওয়াসিফ বলেন, ‘কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি গোটা বিশ্বে তুলে ধরতে হবে। পাকিস্তান স্পষ্টভাবে ঘোষণা করছে, যতদিন না ৫ আগস্ট ২০১৯-এর অবৈধ সিদ্ধান্তসমূহ বাতিল হচ্ছে এবং জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রদান করা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা প্রতিটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই ইস্যুটি জোরালোভাবে উত্থাপন করে যাব।’
