Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

বিমানবালাকে ধর্ষণের হুমকি, স্বামীর পক্ষ নিলেন পাকিস্তানি ইনফ্লুয়েন্সার স্ত্রী

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম

বিমানবালাকে ধর্ষণের হুমকি, স্বামীর পক্ষ নিলেন পাকিস্তানি ইনফ্লুয়েন্সার স্ত্রী

ভার্জিন আটলান্টিকের এক বিমানবালাকে হত্যার ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে কারাদণ্ড পাওয়া সাবেক ব্রিটিশ ব্যবসায়ী সালমান ইফতিখারের পক্ষ নিয়েছেন তার স্ত্রী আবীর রিজভি। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার স্ত্রী ইফতিখারের আচরণের জন্য তার মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাকে দায়ী করেছেন।

গত ৭ আগস্ট ইনস্টাগ্রামে একাধিক পোস্টে স্বামীর পক্ষে কথা বলেন রিজভি। সাজা ঘোষণার কয়েক দিন পরই তিনি এ আহ্বান জানান। পাকিস্তানে বসবাসকারী রিজভির ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে পাঁচ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে।

তিনি লেখেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মজা করার কিছু নেই। প্রতিটি গল্পের পেছনে থাকে অদৃশ্য এক যন্ত্রণা। বিচার করার আগে বোঝার চেষ্টা করুন। সদয় হোন। মানুষ হোন।’

ডেইলি মেইলের তথ্য অনুযায়ী, নিয়োগ সংস্থা ‘স্টাফিং ম্যাচ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ইফতিখাখের দুই জন স্ত্রী রয়েছে। এরুম সালমান নামে অন্য স্ত্রী যুক্তরাজ্যে থাকেন।

ইফতাখারের এই আলোচিত ঘটনাটি ঘটে ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি, লন্ডন থেকে লাহোরগামী একটি ভার্জিন আটলান্টিক ফ্লাইটে। ফার্স্ট ক্লাসে তিন সন্তানকে নিয়ে ভ্রমণ করছিলেন ইফতিখার। মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লাইট চলাকালে তিনি প্রচুর মদ পান করেন এবং কেবিন থেকে হাত দিয়ে বরফ নিয়ে আসেন। এ সময় তাকে আসনে ফিরে যেতে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়. ইফতিখার বিমানবালা অ্যাঞ্জি ওয়ালশকে উদ্দেশ করে চিৎকার করে বলেন, ‘আমাকে কী করতে হবে, সেটা বলবেন না।’ পরে তিনি ওয়ালশকে ‘বর্ণবাদী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমি জানি তুমি কার্ডিফের কোথা থেকে এসেছ।’

এরপর ইফতিখার আরেক পুরুষ কেবিন ক্রু টমি মার্চেন্টকে আক্রমণের চেষ্টা করেন এবং ওয়ালশকে হত্যার হুমকি দেন। এমনকি তিনি লাহোরে ওয়ালশ কোন হোটেলে থাকবেন তাও চিহ্নিত করে জানান।

মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি ওয়ালশকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তুমি মারা যাবে। তোমার হোটেলের ফ্লোর উড়িয়ে দেওয়া হবে এবং সেটি অদৃশ্য হয়ে যাবে। তোমাকে চুল ধরে রুম থেকে টেনে বের করা হবে, গণধর্ষণ করা হবে এবং আগুনে পুড়িয়ে মারা হবে।’

ক্রু সদস্যরা শেষ পর্যন্ত তাকে আসনে বসাতে সক্ষম হন এবং পাকিস্তানে অবতরণের পর কোনো গ্রেপ্তার ছাড়াই তিনি নেমে যান। পরে ২০২৪ সালের ১৬ মার্চ ব্রিটিশ পুলিশ ইংল্যান্ডের আইভারে তার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

গত ৫ আগস্ট আইলসওয়ার্থ ক্রাউন কোর্টে ইফতিখার ওয়ালশকে হত্যার হুমকি ও বর্ণবাদী হয়রানির অভিযোগ স্বীকার করেন, তবে মার্চেন্টকে হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাকে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ওয়ালশ আদালতে দেওয়া বক্তব্যে জানান, এই ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এবং ১৪ মাস ধরে কাজ করতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমি একজন শক্তিশালী, সাহসী, উৎফুল্ল ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট এবং আমার কাজ ভালোবাসতাম। ৩৭ বছরের ক্যারিয়ারে কখনো এমন পরিস্থিতিতে পড়িনি।’

ভার্জিন আটলান্টিক ওয়ালশের সাহসিকতার প্রশংসা করে জানায়, ‘আমাদের যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তা সবসময়ই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। অনবোর্ডে অগ্রহণযোগ্য আচরণের মাধ্যমে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা বিন্দুমাত্র দ্বিধা ছাড়াই আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম