এবার নোবেলের জন্য আজারবাইজান প্রেসিডেন্টের ‘ভোট’ পেলেন ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘সত্যিই নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য’। আফ্রিকা, এশিয়া ও দক্ষিণ ককেশাসে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি ট্রাম্পকে ‘শান্তিকামী’ নেতা নেতা হিসেবে আখ্যা দেন।
মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়াকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে আলিয়েভ বলেন, ‘আর্মেনিয়ার সঙ্গে আমরাও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছি। তিনি সত্যিই এর যোগ্য।’
আলিয়েভ আরও বলেন, ‘আফ্রিকা, এশিয়া ও দক্ষিণ ককেশাসে তিনি একপ্রকার অলৌকিক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। এটা তার চরিত্র, তার স্বভাব। তিনি শান্তি চান। তিনি প্রচলিত পশ্চিমা নেতাদের চেয়ে একেবারেই আলাদা। তিনি খুবই আন্তরিক।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে ‘অত্যন্ত উদার’ হিসেবে বর্ণনা করে আলিয়েভ বলেছেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) এতটা উদার ছিলেন যে পরিকল্পনার চেয়েও বেশি উপহার দিয়েছেন। তিনি এমন একজন মানুষ, যিনি সত্যিই স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য।’
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট ট্রাম্পের উপস্থিতিতে দুই বৈরি প্রতিবেশি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
১৯৮০-এর দশকের শেষ থেকে নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আর্মেনিয়ান অধ্যুষিত এ পাহাড়ি অঞ্চলটি আর্মেনিয়ার সহায়তায় আজারবাইজান থেকে আলাদা হয়ে যায়। তবে ২০২৩ সালে আজারবাইজান পুরো অঞ্চলটি পুনর্দখল করে, ফলে প্রায় এক লাখ আর্মেনীয় আর্মেনিয়ায় পালিয়ে যায়।
চুক্তির অংশ হিসেবে আর্মেনিয়ার ভেতর দিয়ে একটি ট্রানজিট করিডর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়, যা আজারবাইজানকে তার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল নাখচিভানের সঙ্গে যুক্ত করবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর আলিয়েভ ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানসহ একাধিক বিশ্বনেতা এবং কর্মকর্তা ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার দাবি জানান।
উল্লেখযোগ্যভাবে, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ও রুয়ান্ডার মধ্যে চুক্তি পূর্ব কঙ্গোর দীর্ঘ সংঘাতের অবসান ঘটায়। এছাড়া ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে সংঘর্ষে ট্রাম্পের মধ্যস্থতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

