ইসরাইলি হামলায় প্রধানমন্ত্রী নিহতের খবর নিশ্চিত করল ইয়েমেনের হুথিরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫৫ পিএম
হুথি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাওয়ি। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা নিশ্চিত করেছে, রাজধানী সানায় ইসরাইলের বিমান হামলায় তাদের সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাওয়ি নিহত হয়েছেন।
শনিবার এক বিবৃতিতে হুথিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সানায় চালানো ওই হামলায় আল-রাহাওয়ির সঙ্গে আরও কয়েকজন মন্ত্রীও নিহত হয়েছেন। তারা এক কর্মশালায় অংশ নেওয়ার সময় লক্ষ্যবস্তু হন।
শনিবার (৩০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
হুথিদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইলি আক্রমণে আমাদের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী নিহত হয়েছেন,’ তবে বিস্তারিত নাম প্রকাশ করা হয়নি।
🔴عاجل🔴
رئاسة الجمهورية اليمنية: نعلن استشهاد المجاهد أحمد غالب الرهوي رئيس الوزراء في حكومة التغيير والبناء مع عدد من رفاقه الوزراء يوم الخميس الماضي pic.twitter.com/sSpIqTukkn
ইসরাইলের দাবি ও আঞ্চলিক উত্তেজনা
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তারা সানায় ‘হুথি সন্ত্রাসী শাসনব্যবস্থার সামরিক স্থাপনা’’তে আঘাত হেনেছে।
গত কয়েক মাসে ইসরাইল বহুবার ইয়েমেনের হুথি অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। হুথিরা ইসরাইল ও লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে পশ্চিমা জাহাজে হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি করছে, যা তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‘সমর্থন’ হিসেবে উল্লেখ করে আসছে।
হুথিরা বলেছে, ইসরাইলি হামলা তাদের সামরিক কার্যক্রম ঠেকাতে পারবে না। এর আগের দিন, বুধবার, তারা দক্ষিণ ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করেছিল, যদিও ইসরাইল জানায় সেটি সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে।
নেতৃত্বকে লক্ষ্যবস্তু
শনিবারের বিবৃতিতে হুথি প্রেসিডেন্সি জানায়, প্রধানমন্ত্রীসহ নেতাদের হত্যার পরও তাদের সরকার ও প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শহীদদের রক্ত হবে আমাদের শক্তির জ্বালানি এবং একই পথে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা’।
ইসরাইলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের হামলায় পুরো হুথি মন্ত্রিসভা লক্ষ্যবস্তু ছিল—প্রধানমন্ত্রীসহ অন্তত ১২ জন মন্ত্রী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
এর মাত্র চার দিন আগে, ২৪ আগস্ট, সানায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ১০ জন নিহত ও ৯০ জনের বেশি আহত হয়েছিলেন বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ওই হামলায় হুথি সামরিক স্থাপনা ও প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসকে টার্গেট করা হয়েছিল।
ইসরাইলের কৌশল
আল জাজিরার সাংবাদিক হামদাহ সালহুত জানিয়েছেন, ইসরাইল ঘোষণা করেছে তারা হুথিদের সামরিক ও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত যেকোনো স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করবে।
তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল ক্যাটজ পূর্বেই জানিয়েছিলেন, ইয়েমেনে হামলা যথেষ্ট কার্যকর হচ্ছে না। তাই তিনি নেতৃত্ব পর্যায়কে লক্ষ্যবস্তু করার কথা বলেছেন—যেমন ইসরাইল আগেও হিজবুল্লাহ, হামাস বা ইসলামিক জিহাদের নেতাদের বিরুদ্ধে করেছে।’


