ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: শরীয়তপুর-১
বিএনপির সম্ভাব্য তিন প্রার্থী মাঠে, চূড়ান্ত জামায়াতের
কে এম রায়হান কবীর, শরীয়তপুর
প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের মাঠ গোছাচ্ছে বিএনপি। বসে নেই জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস ও গণঅধিকার পরিষদও। দলগুলোর মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এলাকায় গণসংযোগ বাড়িছেন। দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। দল গোছাতেও ব্যস্ত নেতারা।
শরীয়তপুর জেলা সদর ও জাজিরা উপজেলা নিয়ে গঠিত শরীয়তপুর-১ আসন। শরীয়তপুর সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা এবং জাজিরার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বেশিরভাগ সময় আওয়ামী লীগের দখলেই ছিল এ আসন। ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আমিনুল ইসলাম দানেশ মোক্তার এবং ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালু বিজয়ী হন। এরপর ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালু, ৮৮ সালেও নাসির উদ্দিন কালু, ৯১ সালে আওয়ামী লীগের কেএম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব, ৯৬ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক নির্বাচিত হন। তবে আব্দুর রাজ্জাক দুটি আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ায় এই আসন ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে মাস্টার মজিবুর রহমান এমপি হন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব এবং ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের বিএম মোজাম্মেল হক সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন।
এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন-জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার একেএম নাছির উদ্দিন কালু, জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মজিবুর রহমান মাদবর ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মিন্টু সদাগর।
জানা গেছে, এ আসনে বিএনপি তিন ধারায় বিভক্ত। একটি ধারায় রয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি, বিএনপির নির্বাহী সদস্য শফিকুর রহমান কিরন, সরদার একেএম নাছির উদ্দিন কালু, দ্বিতীয় ধারায় রয়েছেন মজিবুর রহমান মাদবর এবং অপরটিতে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান তালুকদার। তারা জেলা বিএনপির নানা কর্মসূচি আলাদাভাবে পালন করে থাকেন।
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে মজিবুর রহমান মাদবর বলেন, আমি বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত ছিলাম। আমার সে অবস্থানকে মূল্যায়ন করে দলের হাইকমান্ড আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে প্রত্যাশা করি।
সরদার একেএম নাছির উদ্দিন কালু বলেন, বিএনপি একটি বড় দল। এখানে ১০ জন মনোনয়ন চাইতে পারে। দল যাকে যোগ্য মনে করে তাকে মনোনয়ন দেবে। তিনি বলেন, এখানে গ্রুপিং থাকতেই পারে। এটা কোনো ব্যাপার নয়।
এই আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোশারফ হোসেন মাসুদ তালুকদার আগামী নির্বাচনে লড়বেন।
আসনটিতে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থী মুফতি তোফায়েল আহম্মেদ কাসেমী ও মাওলানা নাফিছুর রহমান।
