বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ১১ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন প্রক্সি পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিমানের ‘ট্রাফিক হেলপার (ক্যাজুয়াল)’ পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ, জাহাঙ্গীর গেট, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এবং সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তেজগাঁও।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, পরীক্ষার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয় এবং যেকোনো ধরনের অসদুপায় রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করা হয়। তবুও কয়েকজন পরীক্ষার্থী নিয়ম ভঙ্গ করায় তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

 তথ্য অনুযায়ী, বিএএফ শাহীন কলেজে ৭ জন ও সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন-

মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় রুবা আক্তার (রোল: ২৮০০৩৭১৯), সাজাহান হোসেন সজিব (রোল: ২৮০০৬৬৪৭) ও ইমামুল হক (রোল: ২৮০০৭৭০৩)।

প্রবেশপত্রে ছবির অমিল থাকায় ফরহাদ হোসেন ফিরোজ (রোল: ২৮০০৭৪৮৯) ও লাবিব হাসান (রোল: ২৮০০৭৭৬১)।

অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ায় শাহিন মিয়া (রোল: ২৮০০৫০৫৫), আব্দুস সোবাহান (রোল: ২৮০১৪০২৩) ও রেজওয়ান (রোল: ২৮০১৪৪৬৫)।

মোকসেদুল (রোল: ২৮০১৩৫০১) ও নজরুল ইসলাম (রোল: ২৮০১২৮২৪) অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে এবং একই প্রবেশপত্র ব্যবহার করায় আসাদুল ইসলাম উৎস (রোল: ২৮০০৮৮৩২) বহিষ্কৃত হন।

এ ঘটনায় তেজগাঁও ও কাফরুল থানায় মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তদন্তে জানা গেছে, ৫ জন প্রক্সি পরীক্ষার্থী হিসেবে ধরা পড়েছেন। তাদের মধ্যে—

বিএএফ শাহীন কলেজে নূর মোহাম্মদ মোল্লা (রোল: ২৮০০০০৯১)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেন ইসমাইল হোসেন।

শারমিন আক্তারের প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেন মোছা. শারমিন নাহার।

প্রশ্নপত্রের ছবি তুলতে গিয়ে ধরা পড়েন হানিফ আলী (রোল: ২৮০০৪৩৭৩)।

আরও পড়ুন

আরও পড়ুন

দেশের সব বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

অন্যদিকে সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে—

আব্দুস সোবহান (রোল: ২৮০১৪০২৩)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেন রেজাউল ইসলাম।

রেজওয়ান (রোল: ২৮০১৪৪৬৫)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করেন সাদ্দাম হোসেন।

নজরুল ইসলাম (রোল: ২৮০১২৮২৪)-এর প্রবেশপত্রে পরীক্ষা দেন মাহামুদুল হাসান।

বিমান বাংলাদেশ জানিয়েছে, প্রক্সি পরীক্ষার্থীদের আটক এবং মূল পরীক্ষার্থীদের পলাতক দেখিয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিমান পূর্বেও নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও অসদুপায়ের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে যেকোনো ধরনের অসদুপায় বা অনিয়মের ক্ষেত্রে মামলাসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।