জেনে নিন অলিভ অয়েলের উপকারিতা ও সংরক্ষণ পদ্ধতি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিশেষজ্ঞদের মতে, অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল একটি সংবেদনশীল তরল যা অক্সিজেন, তাপ ও আলোর সংস্পর্শে এসে দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এই তেল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। এ ছাড়া এর বেশ উপকারিতাও রয়েছে। চলুন জেনে নেই সেগুলো।
উপকারিতা
১. হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা
অলিভ অয়েলে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট,
বিশেষ করে ওলেইক অ্যাসিড, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের
পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রদাহ কমায় এবং ধমনির গঠনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, অলিভ
অয়েল ধমনির কঠিন হয়ে যাওয়া (আর্থেরোস্ক্লেরোসিস) এর গতি কমাতে সহায়ক।
২. হাড়ের স্বাস্থ্য
অলিভ অয়েলে থাকা পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
হাড় গঠনে সাহায্য করে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য
এটি উপকারী হতে পারে।
৩. প্রদাহ হ্রাস
দীর্ঘমেয়াদী নিম্ন মাত্রার প্রদাহ বিভিন্ন
রোগের কারণ হতে পারে — যেমন হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি।
অলিভ অয়েলের উপাদান যেমন ওলিওক্যানথাল,
ওলিওরোপেইন ও ওলেইক অ্যাসিড শরীরে প্রদাহজনিত উপাদান যেমন সিআরপি ও ইন্টারলিউকিন-এর
মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৪. স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা
অলিভ অয়েলে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট
ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (যেমন ভিটামিন ই ও পলিফেনল) স্নায়ুতন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়, প্রদাহ
কমায় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে। ফলে অ্যালঝেইমার, ডিমেনশিয়া ও অন্যান্য নিউরোডিজেনারেটিভ
রোগের ঝুঁকি কমে।
৫. ক্যান্সার প্রতিরোধ
গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ মাত্রায় অলিভ
অয়েল গ্রহণ ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৩১% পর্যন্ত কমাতে পারে। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার,
হজমতন্ত্র ও মূত্রনালীর ক্যান্সার প্রতিরোধে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এই প্রতিরোধক্ষমতা মূলত ওলিওক্যানথাল ও
অন্যান্য বায়োলজিক্যাল উপাদানের কারণে হয়।
সংরক্ষণ পদ্ধতি
- ঠাণ্ডা, শুষ্ক ও অন্ধকার স্থানে সংরক্ষণ
করুন।
- জানালার পাশে বা চুলার কাছে রাখবেন না।
- ব্যবহারের পর বোতলটি ভালোভাবে বন্ধ করুন।
- বাতাসের সংস্পর্শ কমাতে হবে, কারণ অক্সিডেশন তেল নষ্ট করে।
- খোলার পর কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবহার শেষ
করা উচিত সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ ও স্বাদ পাওয়ার জন্য।
