তোমাদের লেখা
আমরা শোকাহত
সাহিদা সারিন নুহা
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ‘আমরা গভীরভাবে শোকাহত’। এ মর্মান্তিক ঘটনায় দেশবাসীর সঙ্গে আমার স্কুলের সহপাঠী ও পরিবার শোকাহত এবং স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের প্রতি রইল আমার গভীর শোক ও সমবেদনা।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা কেবল হতাহতের পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের নয়, সমগ্র জাতির জন্যই অপরিমেয় বেদনা ও অপূরণীয় ক্ষতি। এ প্রশিক্ষণের আগে যান্ত্রিক দিকটা ঠিক আছে কিনা এটি দেখা দরকার ছিল। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান চালানো নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। বিমান বাহিনীর জন্য নির্ধারিত বিমান বন্দরের পাশে কি ধরনের লোকালয় গড়ে উঠবে এর পরিকল্পনা থাকা উচিত। দুর্ঘটনাজনিত জায়গাটি ঘনবসতিপূর্ণ সুতরাং এ এলাকার মধ্যে প্রশিক্ষণ বিমান পরিচালনা করা উচিত নয়। বিমান প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজন বসতিহীন প্রশস্ত জায়গা। যশোর, কক্সবাজারের মতো জায়গায় বিমান প্রশিক্ষণ হলে দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব। প্রতিদিনের মতো ক্লাস শেষে নিষ্পাপ এ সহপাঠীদের ঘরে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ওদের কেউ ফিরল লাশ হয়ে, কেউ ফিরল পোড়াদেহ নিয়ে। হাসপাতালের বিছানায় আজ কাতরাচ্ছে বেঁচে যাওয়া আমার সহপাঠীরা কাঁদছে তাদের অসহায় বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন। প্রশ্ন জাগে এ নিষ্ঠুর মৃত্যুর দায় কে নেবে? শিশুদের জীবনের চেয়ে মূল্যবান আর কিছু নেই, কেউ যেন আর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ না হয়। বিমান দুর্ঘটনা যেন শুধু একটি পরিসংখ্যান হয়ে না যায়, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চত করা জরুরি। আমরা চাই শুধু লোক দেখানো নয়, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করতে হবে। একইসঙ্গে স্কুল ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ ফ্লাইট নিষিদ্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা চাই না। জাতীয় পর্যায়ে বিমান প্রশিক্ষণ নিরাপত্তা নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা জরুরি বলে মনে করি।
সাহিদা সারিন নুহা
শ্রেণি : ষষ্ঠ
রোল : ২১৩৬
সেকশন : বি
ইংরেজি ভার্সন
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ উত্তরা, ঢাকা।
