সিটি ব্যাংক আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ১২ সাহিত্যিক
সাংস্কৃতিক রিপোর্টার
০৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:৪৭:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ

জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯ প্রদান করা হয়েছে। এ বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থ থেকে বিভিন্ন শাখায় ১২ জন সাহিত্যিককে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সোমবার দুপুরে চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দায় চমৎকার সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এ বছরের সিটি ব্যাংক আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কথাসাহিত্যে অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘কয়লা তলা ও অন্যান্য’ গ্রন্থের জন্য সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং প্রথমা থেকে প্রকাশিত ‘মামলার সাক্ষী ময়না পাখি’ গ্রন্থের জন্য শাহাদুজ্জামান।
কবিতায় অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘পানতুম’ গ্রন্থের জন্য মারুফুল ইসলাম এবং অনন্যা থেকে প্রকাশিত ‘১৯ নম্বর কবিতা মোকাম’ গ্রন্থের জন্য আফজাল হোসেন।
প্রবন্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ শাখায় কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘সময় বহিয়া যায়’ গ্রন্থের জন্য ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও প্রিয়মুখ থেকে প্রকাশিত ‘১৯৭১ প্রতিরোধ সংগ্রাম বিজয়’ গ্রন্থের জন্য মেজর জেনারেল মো. সরোওয়ার হোসেন।
ভ্রমণ ও আত্মজীবনী শাখায় সময় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ‘সুদূরের অদূর দুয়ার’ গ্রন্থের জন্য ফারুক মঈনউদ্দীন। শিশুসাহিত্য শাখায় কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘ভূত কল্যাণ সমিতি’ গ্রন্থের জন্য সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি ও শিশুপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘রঙের গাছ’ গ্রন্থের জন্য মোকারম হোসেন।
প্রথম বই শাখায় জার্নিম্যান বুকস থেকে প্রকাশিত ‘ঘটনা কিংবা দুর্ঘটনার গল্প’ গ্রন্থের জন্য মাজহারুল ইসলাম, অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘নিঃসঙ্গতার পাখিরা’ গ্রন্থের হক ফারুক আহমেদ ও জার্নিম্যান থেকে প্রকাশিত ‘অন ডেইজ লাইক দিস’ গ্রন্থের জন্য শায়রা আফরিদা ঐশী।
প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা পুরস্কার প্রদান কমিটির প্রধান ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী।
আরও বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আনন্দ আলোর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ফরিদুর রেজা সাগর, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মাসরুর আরেফিন এবং আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান।
আনিসুজ্জামান বলেন, এবারের সিটি ব্যাংক আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন একাধিক প্রজন্মের লেখকরা।
অতিথিদের সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্তরা
ভবিষ্যতে এ পুরস্কার ব্যাপকতা লাভ করবে আশা করে তিনি বলেন, যারা নতুন লেখক তারা এ পুরস্কার পেয়ে উৎসাহ পাবেন এবং পুরনো লেখকরা সম্মানিত হলেন। তিনি এ সময় পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রায় পাঁচ হাজার নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্য থেকে বাছাই করে পুরস্কার দেওয়া অনেক কঠিন কাজ।
ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ করে তুলতে ১৪ বছর ধরে এ পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।
মাসরুর আরেফিন বলেন, এ বছরই প্রথম সিটি ব্যাংক এ পুরস্কারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। আগামী বছর এ পুরস্কার আরও বর্ধিত আকারে এবং এর অর্থমূল্য আরও বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশ করে সিরাজুল ইসাম চৌধুরী বলেন, সব সময় বইয়ের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিযোগী ছিল। সময়ের সঙ্গে এখন তা আরও বেড়েছে। যার বৈচিত্র্য ও আকর্ষণও বেশি। কিন্তু তারপরও বই টিকে আছে। এর আবেদন কখনোই শেষ হবে না। আজকে একজন লেখককে শুধু নয় একটি বইকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। পরে অন্যান্য পুরস্কারপ্রাপ্তরাও অনুভূতি প্রকাশ করেন।
পুরো অনুষ্ঠানটি চ্যানেল আইতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সিটি ব্যাংক আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ১২ সাহিত্যিক

জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯ প্রদান করা হয়েছে। এ বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থ থেকে বিভিন্ন শাখায় ১২ জন সাহিত্যিককে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সোমবার দুপুরে চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দায় চমৎকার সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এ বছরের সিটি ব্যাংক আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কথাসাহিত্যে অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘কয়লা তলা ও অন্যান্য’ গ্রন্থের জন্য সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং প্রথমা থেকে প্রকাশিত ‘মামলার সাক্ষী ময়না পাখি’ গ্রন্থের জন্য শাহাদুজ্জামান।
কবিতায় অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘পানতুম’ গ্রন্থের জন্য মারুফুল ইসলাম এবং অনন্যা থেকে প্রকাশিত ‘১৯ নম্বর কবিতা মোকাম’ গ্রন্থের জন্য আফজাল হোসেন।
প্রবন্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ শাখায় কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘সময় বহিয়া যায়’ গ্রন্থের জন্য ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও প্রিয়মুখ থেকে প্রকাশিত ‘১৯৭১ প্রতিরোধ সংগ্রাম বিজয়’ গ্রন্থের জন্য মেজর জেনারেল মো. সরোওয়ার হোসেন।
ভ্রমণ ও আত্মজীবনী শাখায় সময় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ‘সুদূরের অদূর দুয়ার’ গ্রন্থের জন্য ফারুক মঈনউদ্দীন। শিশুসাহিত্য শাখায় কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘ভূত কল্যাণ সমিতি’ গ্রন্থের জন্য সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি ও শিশুপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘রঙের গাছ’ গ্রন্থের জন্য মোকারম হোসেন।
প্রথম বই শাখায় জার্নিম্যান বুকস থেকে প্রকাশিত ‘ঘটনা কিংবা দুর্ঘটনার গল্প’ গ্রন্থের জন্য মাজহারুল ইসলাম, অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘নিঃসঙ্গতার পাখিরা’ গ্রন্থের হক ফারুক আহমেদ ও জার্নিম্যান থেকে প্রকাশিত ‘অন ডেইজ লাইক দিস’ গ্রন্থের জন্য শায়রা আফরিদা ঐশী।
প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা পুরস্কার প্রদান কমিটির প্রধান ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী।
আরও বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আনন্দ আলোর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ফরিদুর রেজা সাগর, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মাসরুর আরেফিন এবং আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান।
আনিসুজ্জামান বলেন, এবারের সিটি ব্যাংক আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন একাধিক প্রজন্মের লেখকরা।
অতিথিদের সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্তরা
ভবিষ্যতে এ পুরস্কার ব্যাপকতা লাভ করবে আশা করে তিনি বলেন, যারা নতুন লেখক তারা এ পুরস্কার পেয়ে উৎসাহ পাবেন এবং পুরনো লেখকরা সম্মানিত হলেন। তিনি এ সময় পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রায় পাঁচ হাজার নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্য থেকে বাছাই করে পুরস্কার দেওয়া অনেক কঠিন কাজ।
ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ করে তুলতে ১৪ বছর ধরে এ পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।
মাসরুর আরেফিন বলেন, এ বছরই প্রথম সিটি ব্যাংক এ পুরস্কারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। আগামী বছর এ পুরস্কার আরও বর্ধিত আকারে এবং এর অর্থমূল্য আরও বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশ করে সিরাজুল ইসাম চৌধুরী বলেন, সব সময় বইয়ের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিযোগী ছিল। সময়ের সঙ্গে এখন তা আরও বেড়েছে। যার বৈচিত্র্য ও আকর্ষণও বেশি। কিন্তু তারপরও বই টিকে আছে। এর আবেদন কখনোই শেষ হবে না। আজকে একজন লেখককে শুধু নয় একটি বইকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। পরে অন্যান্য পুরস্কারপ্রাপ্তরাও অনুভূতি প্রকাশ করেন।
পুরো অনুষ্ঠানটি চ্যানেল আইতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।