
ছবি: সংগৃহীত
ওদের দৃষ্টিতে গন্তব্যহীনতা জ্বলজ্বল করছিল
ওদের চোখের পানি আর অনিশ্চিত গন্তব্যের কথা
আমাদের বিচলিত করেছিল
আমি এবং অবুঝ পাখিরা জল্লাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিলাম...
অতঃপর আমাদের উৎসর্গিত প্রাণের কার্পেট মাড়িয়ে
ওরা স্লটার্ড হাউজের বাইরে এসে দাঁড়িয়েছিল
পায়ের তলায় ছোপ ছোপ রক্ত ছিল
এখানে ওখানে ছিন্নভিন্ন পাখিদের ব্যবচ্ছেদ ছিল
অদৃশ্য আবেগে ওরা ভেঙ্গে পড়েছিল
আমরা তাদের চোখেমুখে মুক্তির আনন্দ দেখতে পেয়েছিলাম
কৃতজ্ঞতায় নত হয়েছিল তারা
অতঃপর তারা শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়িয়ে বলল,
তোমরা কারা? এখানে কী করছো?
আমরা উত্তরে বললাম, ‘এ্যালবাট্রস...আবাবিল। রেসকিউ বার্ড...’
‘বেশ। আমরা গন্তব্যে পৌঁছে গেছি... এবার আসতে পারো!’
দলা দলা রক্ত আর ব্যবচ্ছেদকৃত পাখিদের পালক মাড়িয়ে
ওরা স্লটার্ড হাউজের দিকে গেলো
একে একে জল্লাদের স্থান নিজের দখলে নিয়ে নিলো
অতঃপর আমাদের চোখে চোখ রেখে বলল,
‘এ্যালবাট্রস কিংবা আবাবিল, এতো স্টরি!
আমাদের নাবিকেরা না থাকলে জাহাজ তীরেই ভিড়ত না!
জলদি বাসায় ফেরো; অন্যথায় ডানা কেটে নেবো’
জল্লাদের নব্যমূর্তি দেখে পাখিরা উড়ে গেলো...
আমি একা অবাক দাঁড়িয়ে!
আমি বললাম,
হে অকৃতজ্ঞ নাবিক,
সমুদ্রে বিপদ প্রতিদিন আসে, প্রতিদিন এ্যালবাট্রস আসেনি, আসে না...
‘এ্যালবাট্রসরা স্বর্গীয় পাখি। রেসকিউ বার্ড। উদ্ধার শেষে একান্তে উড়ে যায়
উত্তাল সমুদ্র শেষে নিরাপদে তীরে এসে অকৃতজ্ঞ নাবিকেরা কেবল স্বর্গীয় পাখিদের কথা ভুলে যায়...’