Logo
Logo
×

বাংলার মুখ

বিশ্বনাথে স্থাপনা উচ্ছেদ না করেই খনন কাজ শুরু!

‘মাকুন্দা নদী’ খননে ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ

Icon

আশিক আলী, বিশ্বনাথ (সিলেট)

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিলেটের বিশ্বনাথে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করেই ২৮ কিলোমিটার ‘মাকুন্দা নদী’ খনন কাজ শুরু করেছে সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ড! করা হয়নি নদীর সাবেক সীমানা নির্ধারণও। বর্তমানে যতটুকু নদী রয়েছে ঠিক ততটুকু নির্ধারণেই চলছে খনন কাজ। এক সময়ের খরস্রোতা মাকুন্দা নদী বর্তমানে দখল আর দূষণে একটি মরা খালে পরিণত হয়েছে। বর্ষাকালে নদীতে আগের মতো আর স্রোত দেখা যায় না। আর শুকনো মৌসুমে নদীতে হাঁটুজল থাকে। অনেক স্থানে নদীর তলদেশ ভেসে ওঠে। ফলে পানির অভাবে নদী পাড়ের কৃষকরা চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। নেই মাছের আবাসস্থল।

দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সিঙ্গেরকাছ বাজারে নদীর তীর দখল করে দু’তলা ও তিনতলা স্থায়ী ভবন নির্মাণ করেছেন দখলদাররা। নদীর চরে প্রায় অর্ধশতাধিকেরও বেশি স্থায়ী দালানঘর রয়েছে। নদীর চর ভরাটের সুযোগে দখলদাররা তাদের বিল্ডিংয়ের পেছনে একের পর এক বিল্ডিং নির্মাণ করেই আসছেন। এছাড়াও বৈরাগী বাজার আর লামাটুকের বাজারেও নদীর চলে রয়েছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। এতে নদী ছোট হয়ে একটি মরা খালে পরিণত হয়েছে। সরকার সারা দেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর চর দখলমুক্ত করা হলেও, সেদিকে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো নজর নেই। ফলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন মাকুন্দা নদী চরের দখলদাররা। সম্প্রতি সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ওই নদীর ২৮ কিলোমিটার খননের জন্য ১৩ কোটি টাকার টেন্ডার কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। সুরমা নদীর উৎপত্তিস্থল মাকুন্দা নদীর শুরু থেকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও ছাতক সীমান্ত পর্যন্ত ওই খনন কাজের টেন্ডার করা হয়। প্রথম অংশ থেকে ১৫ কিলোমিটার খনন কাজের যৌথভাবে টেন্ডার পেয়েছে ইরশাদ এন্টারপ্রাইজ ও এসএএসআই এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর দ্বিতীয় অংশের ১৩ কিলোমিটার খনন কাজ পেয়েছে মেসার্স পূবালী এন্টারপ্রাইজ নামের আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সম্প্রতি প্রথম অংশের ১৫ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করা হলেও উচ্ছেদ করা হয়নি নদী চরের অবৈধ স্থাপনা। এতে খনন কাজে বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়াবে অবৈধ স্থাপনাগুলো। জানতে চাইলে সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আল আমিন সরকার বলেন, কাজ শুরুর আগে জুন মাসের প্রথম দিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবদেন করেছেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম