Logo
Logo
×

মধ্যপ্রাচ্য

গাজায় ২ বছরে প্রতি ঘণ্টায় ১ শিশু নিহত

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম

গাজায় ২ বছরে প্রতি ঘণ্টায় ১ শিশু নিহত

গাজার একটি শরণার্থী ক্যাম্পে দুই শিশু। ছবি: আল-জাজিরা

বিশ্বনেতাদের নীরবতায় তৃতীয় বছরে পা রাখল গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২৪ মাস ধরে গাজায় একের পর এক নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। একটা পুরো জাতি নির্মূলে ইসরাইলের সর্বাত্মক এই চেষ্টার প্রথম শিকার ছিল শিশুরা।

মঙ্গলবার আল-জাজিরার পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত দুই বছরে প্রতি ঘণ্টায় একজন শিশুকে হত্যা করেছে ইসরাইল সেনাবাহিনী। অন্তত ২০ হাজার শিশুকে হত্যা করেছে ইসরাইল। নানান টালবাহানার পর গত সপ্তাহে যুদ্ধবন্ধের নতুন ‘২০ দফা শান্তি প্রস্তাব’ উপস্থাপন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মিসরের শার্ম এল শেখ শহরে হামাস-কাতার-মিসর-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনাও চলছে হামাস-ইসরাইলের প্রতিনিধিদলে।

সোমবার প্রথম দফার ‘ইতিবাচক আলোচনা’ শেষে মঙ্গলবার দুপুর থেকে দ্বিতীয় দফার বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতার। তবু হামলা থামেনি। মঙ্গলবারও গাজা সিটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এএফপি, এপি।

হামাসের আলোচক দলের ঘনিষ্ঠ দুটি সূত্র মঙ্গলবার এএফপিকে জানিয়েছে, মিসরে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে প্রথম দফার পরোক্ষ আলোচনা এখন পর্যন্ত ‘ইতিবাচক’ হয়েছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ মোহাম্মদ আল আনসারি বলেন, মিসরে গাজা যুদ্ধ শেষ করার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ‘চার ঘণ্টার তীব্র ও সুচিন্তিত আলোচনা হয়েছে। যাতে সমস্যার মূল বাধাগুলো চিহ্নিত করা যায়।’ আরও আলোচনা চলছে এবং বেশ কয়েকটি বিষয়ে চুক্তি প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গণহত্যার দুই বছরের পরিসংখ্যান

গত ২৪ মাসে ইসরাইল গাজার জনসংখ্যার ১০ শতাংশেরও বেশি মানুষকে হত্যা বা আহত করেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৬৭,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আরও হাজার হাজার মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে। এর অর্থ হলো, যুদ্ধ-পূর্ব জনসংখ্যার ৩ শতাংশ বা প্রতি ৩৩ জনের মধ্যে একজন নিহত হয়েছে।

আহতের সংখ্যা ও স্বাস্থ্যসেবায় আক্রমণ

গাজায় ১৪ জনের মধ্যে একজন আহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় ১,৬৯,০০০-এরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। অনেকেরই গুরুতর ক্ষত রয়েছে। ইউনিসেফের অনুমান, গাজায় ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ শিশু এক বা একাধিক অঙ্গ হারিয়েছে। গত দুই বছরে, কমপক্ষে ১২৫টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দুর্ভিক্ষ ও অনাহার

ইসরাইল সামরিক বিধিনিষেধের মাধ্যমে গাজায় সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে। খাদ্য বিতরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এমনকি ত্রাণ সংগ্রহের সময়ও গুলি করা হয়েছে ফিলিস্তিনিদের। গাজায় ১৫৪ জন শিশুসহ কমপক্ষে ৪৫৯ জন মানুষ অনাহারে মারা গেছেন। ২২ আগস্ট, জাতিসংঘ-সমর্থিত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) সিস্টেম ছিটমহলে দুর্ভিক্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ (৬৪১,০০০ মানুষ) ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে বলে আশা করা হচ্ছে (আইপিসি ফেজ ৫)।

ঘটনাপ্রবাহ: হামাস ইসরাইল যুদ্ধ


আরও পড়ুন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম