Logo
Logo
×

মধ্যপ্রাচ্য

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। ছবি: আনাদোলু

ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ শনিবার ঘোষণা করেছেন, গাজা উপত্যকার যে অংশ বর্তমানে ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেখানে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে চলমান যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবেই।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে কাৎজ লিখেছেন, আমি ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে (আইডিএফ) নির্দেশ দিয়েছি বর্তমানে আমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন হলুদ রেখা টানা অঞ্চলে টানেল ধ্বংসকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে। এটি এখন আমাদের মূল দায়িত্ব, পাশাপাশি সেনাদের ও সীমান্তবর্তী এলাকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

তিনি আরও জানান, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত এবং সেন্টকম কমান্ডারদের সঙ্গে একাধিক আলোচনার মধ্যেই এই প্রক্রিয়া চলছে। এসব আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং গাজার বাকি অংশে হামাসের টানেল সম্পূর্ণ ধ্বংস ও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইসরাইল কাৎজ বলেন, গাজাকে নিরস্ত্রীকরণের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো হামাসের সন্ত্রাসী টানেলগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস করা এবং হামাসকে নিরস্ত্র করা। গাজায় বিজয় অর্জনের জন্য এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত লক্ষ্য।

তিনি আরও যোগ করেন, সবচেয়ে জরুরি মানবিক দায়িত্ব হলো সকল জিম্মি ও নিহতদের মরদেহ ঘরে ফিরিয়ে আনা। এই পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পূরণে আমরা কোনো কিছুতেই পিছপা হব না।

কাৎজ বলেন, হামাস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মহান বিজয়কে সুসংহত করার একমাত্র উপায় হলো গাজাকে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্র করা। এখনো ৬০ শতাংশ টানেল অবশিষ্ট আছেসেগুলো ধ্বংসের কাজই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় সম্পাদিত ধাপে ধাপে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। প্রথম ধাপে ইসরাইলি জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি ও আংশিকভাবে ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি গাজা পুনর্গঠন ও হামাসকে বাদ দিয়ে একটি নতুন প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৮ হাজার ৫০০ জন নিহত ও ১ লাখ ৭০ হাজার ৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম