ইসরাইলের সমালোচনা করেও দেশটির সঙ্গে ব্যবসা করছে ২৮ দেশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ১০:১৮ পিএম
গাজায় ত্রাণবিতরণ কেন্দ্রে মানুষের ভিড়। ছবি: আল-জাজিরা
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলা চলছেই। ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু কোনোভাবেই থামছে না। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের ২৮টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইসরাইলকে এ যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
এসব দেশ একদিকে যুদ্ধের নিন্দা করলেও, অন্যদিকে ইসরাইলের সঙ্গে কয়েক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। কেউই অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেনি, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও দেয়নি।
দেশগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, গ্রিস, জাপান, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য।
দেশগুলোর মধ্যে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, স্পেন, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য ইসরাইলের সঙ্গে বছরে এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বাণিজ্য করে।
ইসরাইলের সঙ্গে এসব দেশের ব্যবসায় প্রধানত গাড়ি, চিপস, ওষুধ ও প্রসাধনী পণ্য লেনদেন হয়। যেমন, আয়ারল্যান্ডে ইসরাইল থেকে ৩.৫৮ বিলিয়ন ডলারের চিপস আমদানি হয়েছে। আবার ইতালি ইসরাইলে ৩.৪৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
এই ২৮ দেশের মধ্যে আয়ারল্যান্ড ও স্পেন ২০২৪ সালে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও তারা ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধ বন্ধের কথা বলা এসব দেশের উচিত ছিল কঠোর ও বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া—যেমন অস্ত্র নিষিদ্ধ করা, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া বা সম্পর্ক ছেদ করা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব দেশ কেবল বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে।
ফলে অনেকেই মনে করছেন, এদের আচরণে নৈতিক দ্বিচারিতা স্পষ্ট। মানুষ চায় শুধু কথা নয়, বাস্তব উদ্যোগ। যতক্ষণ না তা হয়, ফিলিস্তিনের জনগণের দুর্দশা চলতেই থাকবে।
সূত্র: আল-জাজিরা


