সেই সাবিকুন নাহারকেই মন দিলেন ত্বহা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২১ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আলোচিত ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান তার সাবেক স্ত্রী সাবিকুন নাহারকে আবারও বিয়ে করেছেন। এর আগে গত ২১ অক্টোবর তাদের বিচ্ছেদ হয়। মাসখানেকের মধ্যেই তাদের আবারও বিয়ে হয়।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সাবিকুন নাহার নিজেই তার ফেসবুকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আবু ত্বহার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আবার কিভাবে একসঙ্গে হলেন? বিষয়টি নিয়ে সাবিকুন্নাহার লিখেছেন- দুনিয়াটা ক্ষণস্থায়ী। পুরোদস্তুর ধোঁকা, নিখাঁদ এক প্রতারণা। কতদিনই আর বাঁচব আমরা এই দুনিয়ায়? অনন্ত পরকালের চুলচেরা হিসাব আর চিরস্থায়ী জান্নাতের সাফল্যই যে সব! সেই সাফল্যের ভিখারি হয়েই আজ কথাগুলো লিখছি। কে কী ভাববে? কে কী বলবে?
বাচ্চারা বাবা-মাকে খোঁজে- এমনটা জানিয়ে সাবিকুন নাহার লেখেন- কী হবে আর কী না হবে- এসবেরও বিন্দুমাত্র পরোয়া নেই। প্রতিনিয়ত আয়িশা তার বাবাকে খোঁজে! বাবা যাবো! বাবা গাড়ি! বাবা কই? শব্দগুলোর ওজন উঠানোর কোনো পরিমাপক মহাবিশ্বে নেই।
উসমানও মাকে পাচ্ছে না। উসমানের সামনে অন্যরা তাদের মায়ের কাছে আম্মু বলে ছুটে যাচ্ছে। অন্যদিকে নির্লিপ্ত চাহনিতে উসমানের প্রশ্ন তার আম্মুর কাছে কখন নিয়ে যাবে!
বিচ্ছেদ ও আগের ঘটনা প্রসঙ্গে সাবিকুন নাহার বলেন, যা ঘটে গেছে তার অনিবার্য পরিণতি যে এটাই তা হয়তো আমরা জানতাম, তবে জানা আর প্রতিনিয়ত উপলব্ধি করা যে কখনই এক নয়! ইলমুল ইয়াক্বিন আর হাক্কুল ইয়াক্বিনে আছে আকাশসম ফারাক। জানা বিষয়টি উপলব্ধি করেছি আমরা।
বেশাক আমাদের ভুল ছিলো। কিছু ভুল বুঝেছি, বুঝানোও হয়েছে! উসমানের বাবার প্রতি প্রগাঢ় মহব্বত থেকেই অস্থির হয়েছি; কিছু রাগ, জেদ ও সীমালঙ্ঘনও হয়ে গেছে! সঙ্গে মানুষ ও জিন-শয়তান, বিচ্ছেদের জাদু কী না ছিল?
সাবিকুন নাহার বলেন, হয়তো এভাবেই আমাদের ভাগ্য লিখা হয়েছিল। তাকদিরের কাছে তো অনেক বড়রাও অসহায় ছিলেন, যেমন গ্রহণের সময় নিরুপায় থাকে চাঁদের আলো। তাই বলে কি চাঁদ কশ্মিনকালেও কলংকিত? সে যে আজন্ম আমার চাঁদ-ই ছিল! দুরাচার শয়তান সঠিক সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে বারংবার! শুভ্র, স্বচ্ছ, সুন্দর, চিন্তায় ইবলিসকে তাই ঠাঁই দেইনি আর। ফা লিল্লাহিল হামদ! অতঃপর... আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন।
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন। উসমান ও আয়িশা তাদের বাবা-মাকে ফিরে পেয়েছে! আল্লাহুম্মা লাকাল হামদ।
