ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জুলাই গণহত্যায় হাসিনার আস্থাভাজন বিটিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক মুন্সী ফরিদুজ্জামান, উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ ও নির্বাহী প্রযোজক শামসুল আলমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি জানিয়েছে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন।
সোমবার
(৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব
দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে
ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি ও বাংলা পোস্টের
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক
তালুকদার বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ৫
আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালালেও
তার এবং সাবেক তথ্য
ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের আস্থাভাজন বিটিভির উপ-মহাপরিচালক (বার্তা)
সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ ও মুখ্য বার্তা
সম্পাদক মুন্সী ফরিদুজ্জামান বহাল তবিয়তে রয়েছেন
বিটিভিতে। উল্টো বিটিভি নিউজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ২০০৯ সাল থেকে
২০১৪ সাল পর্যন্ত তৎকালীন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস
উইংয়ের সদস্য এই মুন্সী ফরিদুজ্জামানকে।
শুধু
তাই নয়, ২০২৪ সালের
৭ জুলাই বিটিভি কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের আন্দোলন দমনে এবং সাবেক
তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ. আরাফাতের নির্দেশে
মিথ্যা প্রপাগান্ডার যে সংবাদ প্রচারের
সিদ্ধান্ত নেয়, সেই কমিটির
প্রধান করা হয় নির্বাহী
প্রযোজক শামসুল আলমকে। যার স্মারক নম্বর—১৫.৫৪.৩০২৫.০২৫.১৮.০০২.২২.১৫৭। দুঃখের
বিষয় হলেও সত্যি, ছাত্র
হত্যার নেতৃত্বদানকারী শামসুল আলম এখন বিটিভির
হয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সদস্য। একমাত্র রাষ্ট্রীয় এ টেলিভিশন চ্যানেলে
হাসিনার আস্থাভাজনদের হাতে কতটুকু নিরাপদ
তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন
দেখা দিয়েছে।
অলিদ
বিন সিদ্দিক তালুকদার বলেন, শেখ হাসিনার আস্থাভাজন
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের
দুর্নীতিবাজ সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মহসিনের
প্রভাবে স্ত্রী তাসমিনা আহমেদ ও মুন্সী ফরিদুজ্জামান
এখনও বড় অঙ্কের টাকা
লেনদেনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়সহ সব ম্যানেজ করার
দাম্ভিকতা দেখাচ্ছেন। যার ফলে হাসিনা
পালানোর ১ বছর পার
হলেও তাদের বিষয়ে রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে তথ্য
ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
ফরিদুজ্জামান
ও তাসমিনা গংদের হাত ধরেই রাষ্ট্রের
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ভিডিওচিত্র
যাচ্ছে সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের কাছে—এমন অভিযোগ
বিটিভির একাধিক সূত্রে জানা যায় বলেও
জানান তিনি।
