Logo
Logo
×

জাতীয়

যে কারণে পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়ালেন কামরুল ইসলাম

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম

যে কারণে পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়ালেন কামরুল ইসলাম

 ‘হাজতখানার গেটে এসেই পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়ান কামরুল ইসলাম। ধাক্কাধাক্কির জন্য তিনি ক্ষিপ্ত হন বলে জানান কিছু পুলিশ সদস্য। পরে তাকে বুঝিয়ে হাজতখানায় ঢুকানো হয়।’

জুলাই আন্দোলনের সময় শাহবাগে জুট ব্যবসায়ী মো. মনির হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

শুনানি শেষে হাজতখানার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কামরুল ইসলামকে। এ সময় সংবাদকর্মীরা ভিডিও ফুটেজ নিতে থাকেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংবাদকর্মীদের সামান্য ধাক্কাধাক্কি হচ্ছিল। তখন হাজতখানার গেটে এসেই পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়ান কামরুল ইসলাম। ধাক্কাধাক্কির জন্য তিনি ক্ষিপ্ত হন বলে জানান কিছু পুলিশ সদস্য। পরে তাকে বুঝিয়ে হাজতখানায় ঢুকানো হয়।

এদিন শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আফতাব মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মামলার ঘটনাস্থল শাহবাগ থানাধীন চাঁনখারপুল এলাকা। তিনি এই এলাকার সংসদ সদস্যও নন, বাসিন্দাও নন। তিনি স্টোমাক ক্যানসারে আক্রান্ত। লাঠিতে ভর দিয়ে আদালতে এসেছেন। তিনি অসুস্থ মানুষ। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। যেকোনো সময় তার একটি দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ দেন, তবুও রিমান্ড দেবেন না।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, এই আসামি কামরুল ইসলাম রাষ্ট্রীয় মদদে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম-খুন করেছেন। তিনি খাদ্যমন্ত্রীর আগে আইন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন৷ তিনি জুট ব্যবসায়ী মনির হত্যার সঙ্গে জাড়িত। তাকে রিমান্ডে নিলে অন্যান্য আসামিদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় এজলাসে হাজির করা হয়। এ সময় লাঠিতে ভর দিয়ে আদালতের দিকে হাঁটতে দেখা যায় তাকে। এরপর তাকে আদালতের কাঠগড়ায় রাখা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইনুল ইসলাম খান পুলক ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

গত বছরের ১৮ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর থেকে কয়েক দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন তিনি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানার চাঁনখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার গত ১৪ মার্চ শাহবাগে থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ৩৫১ জনকে এজাহারনামীয় ও ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। কামরুল ইসলাম এ মামলার ৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম