Logo
Logo
×

জাতীয়

বিএনপি আ. লীগ ও জামায়াতের মধ্যে জনমত কার বেড়েছে, কার কমেছে?

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম

বিএনপি আ. লীগ ও জামায়াতের মধ্যে জনমত কার বেড়েছে, কার কমেছে?

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন বয়সি ভোটারদের ওপর জরিপ চালিয়েছে ‘ইনোভেশন কনসাল্টিং’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। জরিপের তথ্যে উঠে এসেছে গত ৬ মাসে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর জনমত কার বেড়েছে কার কমেছে। সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে কোন দল সরকার গঠনে এগিয়ে, কোন দল পিছিয়ে।

জনমত জরিপ বলছে, ৪১.১ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে সমর্থন করছে। জামায়াতে ইসলামীকে ৩০.৩, কার্যক্রম স্থগিত ঘোষিত আওয়ামী লীগ ১৮.৮ এবং এনসিপির সমর্থন ৪.১ শতাংশ। তবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না এলে বিএনপির সমর্থন বেড়ে ৪৫.৬ এবং জামায়াতের ৩৩. ৫ শতাংশে দাঁড়াবে।

এই জনমত জরিপে দেখা গেছে গত ছয় মাসে বিএনপির সমর্থন বেড়েছে। জামায়াতের কমেছে। আরও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রতিও মানুষের সহানুভূতি বেড়েছে।

জরিপ বলছে, চলতি বছরের মার্চে বিএনপির ভোট ছিল ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে তা ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ হয়েছে। জামায়াতের ভোট ৩১.৬ থেকে ৩০.৩ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে আওয়ামী লীগের ভোট ৬ মাসের ব্যবধানে বেড়ে ১৪ থেকে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১৮.৮ শতাংশে পৌঁছেছে। আবার এনসিপির সমর্থন ৫.১ থেকে কমে ৪.১ শতাংশে এসেছে। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনের সমর্থন বেড়ে ৩.৯ শতাংশ হয়েছে। জাতীয় পার্টির সমর্থন সামান্য কমে ১ থেকে ০.৯ শতাংশে নেমেছে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সিদ্ধান্তহীন ভোটারের হার মার্চের ২৯.৪ থেকে বেড়ে ৩২.৬ শতাংশে উঠেছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, উত্তরদাতাদের মতামত বিশ্লেষণ করা জানা যায়, বিএনপির ভোটব্যাংক মূলত বয়স্ক প্রজন্মের ভোটারদের নিয়ে গঠিত। জামায়াতের ভোটব্যাংক তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। ভোটারদের তথ্য মূল্যায়ন করে জানা গেছে, রংপুরে জামায়াতে ইসলামীর ভোট ৪৩.৪, বিএনপির ৩৬.৭ এবং আওয়ামী লীগের ১.২ শতাংশ। বরিশালে আওয়ামী লীগের ভোট ৩১.৯, জামায়াতের ২৯.৯, বিএনপির ২৮.৭ এবং এনসিপির ৩.৯ শতাংশ। বিএনপি চট্টগ্রামে ৪৯.৯, সিলেটে ৪৪.৭, ময়মনসিংহে ৪৫.৭, রাজশাহীতে ৪৪.৪, খুলনায় ৪৩.৩ এবং ঢাকায় ৪০.৮ শতাংশ ভোট পাবে। জরিপে যারা আওয়ামী লীগকে সবচেয়ে উপযুক্ত মনে করেন, তাদের কাছে প্রশ্ন ছিল দ্বিতীয় উপযুক্ত দল কোনটি। জবাবে ১৪১৩ জনের মধ্যে ৪৯.৫ শতাংশ (৯১১ জন) মনে করে বিএনপি। ১৭.৯ শতাংশ (৩৩০) জামায়াত এবং ১৭.৪ শতাংশ (৩২৭) এনসিপি।

নির্বাচিত সরকারের কাছে ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ মানুষের প্রত্যাশা তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করবে। ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশের প্রত্যাশা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনবে। আর ৪২ দশমিক ৪০ শতাংশ চায় কর্মসংস্থান। এছাড়াও দুর্নীতি রোধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব চায় ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ ভোটার। জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভোটারের ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির পক্ষে সমর্থন বেড়েছে, উলটো ঘটেছে জামায়াতের ক্ষেত্রে। আর শিক্ষা বাড়ার সঙ্গে ভোটাররা মত দিয়েছেন জামায়াতের পক্ষে, উলটো ঘটেছে বিএনপির বেলায়। জেন-জি ও নারীদের মধ্যে জামায়াতের সমর্থন বেশি।

স্থানীয় পর্যায়ে কার্যক্রমে সন্তুষ্টি : জরিপে স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় রাজনীতি নিয়ে সন্তুষ্টির বিষয়ে ভোটারদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এতে এগিয়ে জামায়াত। জামায়াতের কার্যক্রমে শতভাগ, অনেক ও মোটামুটি সন্তুষ্ট ৪৭ দশমিক ৪ শতাংশ। আর দলটির কার্যক্রমে একেবারেই সন্তুষ্ট নন ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ উত্তরদাতা। এরপরই রয়েছে এনসিপি। এনসিপির কার্যক্রমে সন্তুষ্ট ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ উত্তরদাতা। আর একেবারেই সন্তুষ্ট নন ১৭ শতাংশ। অন্যদিকে বিএনপির কার্যক্রমে শতভাগ, অনেক ও মোটামুটি সন্তুষ্ট ৩৯ দশমিক ৪ শতাংশ উত্তরদাতা। আর দলটির কার্যক্রমে একেবারেই সন্তুষ্ট নন ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ উত্তরদাতা। কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলেও উত্তরদাতারা সবচেয়ে বেশি অসন্তুষ্ট আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমে। দলটির কার্যক্রমে একেবারেই সন্তুষ্ট নন ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ উত্তরদাতা। তবে দলটির কার্যক্রমে শতভাগ, অনেক ও মোটামুটি সন্তুষ্ট ২৬ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা।

ঘটনাপ্রবাহ: ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন


আরও পড়ুন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম