Logo
Logo
×

জাতীয়

সাত কলেজ নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৯ পিএম

সাত কলেজ নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে ‘বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে’ বলে দাবি করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘সাত কলেজ নিয়ে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তবে কিছুটা ভুল-বোঝাবুঝি ও ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। সেগুলো নিয়ে নানা রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে, যেটা মোটেই কল্যাণকর নয়। এটা খুব চ্যালেঞ্জিং কাজ। আমরা দ্রুত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয় চূড়ান্ত করব।’

সাত কলেজ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাস্তবতার প্রেক্ষিতেই সাত কলেজ নিয়ে উদ্যোগটা নেওয়া হয়েছে। অবশ্যই এ সাত কলেজের ছাত্রছাত্রীদের দাবিদাওয়ার প্রেক্ষিতেই উদ্যোগটা নেওয়া হয়েছে, যাতে বিশেষায়িত একটা বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়, যেখানে মানসম্মত শিক্ষা, সময়মতো পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই সাত কলেজ আনার পর সমস্যার সৃষ্টি হয়।

‘এই সমস্যা সমাধানের জন্য সিরিজ সভা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উদ্যোগে। মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি খুব নিবিড়ভাবে কাজ করেছে, যেখানে এমন কোনো অংশীদার ছিল না, যারা অংশ নেননি। ইউজিসি থেকে আমাকে যা বলা হয়েছে, সেগুলোর লিখিত ও অডিও ডকুমেন্টস আছে। সেখানে কারা কারা ছিলেন, কোন কোন প্রতিষ্ঠান, কোন কোন পেশার লোকজন ছিলেন—তার প্রেক্ষিতে তারা একটা প্রতিবেদন আমাকে দেন, যেটা আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পাই।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘সেই প্রতিবেদনের একটা বড় বিষয় হলো, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় করতে হলে একটা আইন প্রণয়ন করতে হয়। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ইউজিসি একটা আইন প্রণয়ন করে আমাকে দিয়েছে। আমরা সাড়ে চার হাজারের মতো মতামত নিয়েছি অনলাইনে। এ ছাড়া লিখিতভাবে বিভিন্ন লোকজন আমাদের কাছে মতামত দিয়েছেন। সেগুলো গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে যাচাই-বাছাই করছে মন্ত্রণালয়ের ১২ জন।

‘আশা করছি, আগামী ২০, ২১ ও ২২ অক্টোবর যে সভার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে এসব মতামত আমরা উপস্থাপন করব। তারপর আলাপ-আলোচনা করে ড্রাফট করে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠাব।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম