ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরেই মেগাসিটি ঢাকা রয়েছে এই দূষণের শীর্ষ তালিকায়।
রোববার (২ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, ৯৬ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৩তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ রাজধানী ঢাকা। এই স্কোর অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমানকে ‘মাঝারি বা সহনীয়’ হিসেবে ধরা হয়।
একই সময়ে ৪০৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৪৬), তৃতীয় স্থানে দেশটির আরেক শহর করাচি (২০৮), চতুর্থ স্থানে চীনের সাংহাই (১৯০) এবং পঞ্চম স্থানে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসা (১৭৭)।
বায়ুমানের মানদণ্ড অনুযায়ী—
- ০ থেকে ৫০ স্কোর ‘ভালো’,
- ৫১ থেকে ১০০ ‘সহনীয়’,
- ১০১ থেকে ১৫০ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’,
- ১৫১ থেকে ২০০ ‘অস্বাস্থ্যকর’,
- ২০১ থেকে ৩০০ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’,
আর ৩০১-এর বেশি স্কোর ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ুদূষণ সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর, তবে শিশু, অসুস্থ, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বা নারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় পাঁচটি প্রধান দূষণ উপাদানের ভিত্তিতে—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂), কার্বন মনোক্সাইড (CO), সালফার ডাই-অক্সাইড (SO₂) এবং ওজোন (O₃)।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান তিনটি উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণসাইটের ধুলাবালি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে স্ট্রোক, হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা ও ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। ফলে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ লাখ মানুষ অকালমৃত্যুর শিকার হন।

