Logo
Logo
×

জাতীয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: মেয়াদ বাড়ল স্বাধীন তদন্ত কমিশনের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৫ পিএম

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: মেয়াদ বাড়ল স্বাধীন তদন্ত কমিশনের

কমিশনকে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত ঘটনার প্রকৃতি ও স্বরূপ উদঘাটন করতে বলা হয়েছে। সংগৃহীত ছবি

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুনঃতদন্তে গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়িয়েছে সরকার। তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমানকে সভাপতি করে স্বাধীনতা কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রাথমিকভাবে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয়। পরে সেই সময় দুই দফা আরও তিন মাস করে বাড়ানো হয়। শেষে বাড়ানো হয় দুই মাস। সেই সময় শেষ হয়েছে ৩০ নভেম্বর।

কমিশনকে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত ঘটনার প্রকৃতি ও স্বরূপ উদঘাটন করতে বলা হয়েছে। যদিও স্বাধীন তদন্ত কমিশন গত রোববার (৩০ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহী জওয়ানদের হামলায় নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তা। ঘটনাটি নিয়ে ওই সময়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। 

কিন্তু রিপোটর্টি আলোর মুখ দেখেনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা, মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের স্বজনরা। এরপর ২৩ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। 

কমিটিকে সুনির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে-অপরাধ সংঘটনকারী, সহায়তাকারী, ষড়যন্ত্রকারী, ঘটনার আলামত ধ্বংসকারী ও ইন্ধনদাতাকে চিহ্নিত করা। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট অপরাধী ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, বিভাগ ও সংগঠন চিহ্নিত করা অন্যতম।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম