মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: নতুন তথ্য দিল পুলিশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
গৃহকর্মীকে চুরি করতে দেখে ফেলায় লায়লা আফরোজ ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চাঞ্চল্যকর মা ও মেয়েকে খুনের ঘটনায় নতুন তথ্য দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। চুরির উদ্দেশ্যেই মোহম্মদপুরের ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেয় অভিযুক্ত আয়েশা। তার চুরি ধরে ফেলাই কাল হয়েছে মা-মেয়ের।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে মিডিয়া সেন্টার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আয়েশা চুরির উদ্দেশ্যেই মোহম্মদপুরের ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেয়। চুরি ধরে ফেলায় প্রথমে মাকে হত্যা করে। পরে মেয়ে দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করে। হত্যার পর বাসায় চুরি করে স্কুল ড্রেস পরে পালিয়ে যান আয়েশা।’
গত ৮ ডিসেম্বর সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলার বাসায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গৃহকর্মী বুধবার (১০ ডিসেম্বর) আয়েশাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি নলছিটি এলাকায় তার দাদা শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।
আয়েশার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বাসার মালামাল চুরি করে নেওয়ার সময় লায়লা আফরোজের কাছে আয়েশা ধরা পড়ে। একপর্যায়ে লায়লা আফরোজ তাকে আটকে পুলিশে ফোন দিতে গেলে আয়েশা ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে তাকে হত্যা করে।
মায়ের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে মেয়ে নাফিজা বিনতে আজিজ দৌড়ে ড্রয়িংরুমে এসে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। ওই সময় গৃহকর্মী তাকেও ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে, এরপর স্কুলড্রেস পরে পালিয়ে যায়।
আয়েশার স্বামী রাব্বির বরাতে পুলিশ আরও জানায়, মা-মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না আয়েশার। স্বর্ণের গয়না ও কিছু মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আয়েশাকে পেছন থেকে ধরে ফেলেন লায়লা। ধরা পড়ার ভয়ে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে আয়েশা।
সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মেয়ে নাফিসার শরীরে ছিল ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন।
