পর্যাপ্ত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা পাওয়া না গেলে বেসরকারি ব্যাংক থেকে নিয়োগের নির্দেশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৭ এএম
ফাইল ছবি।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর আগে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মকর্তা পাওয়া না গেলে যাচাই–বাছাই করে বেসরকারি ব্যাংক থেকেও কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে বলেছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রস্তুত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল থেকে বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বাদ দিয়ে প্যানেল প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটগ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মকর্তা পাওয়া না গেলে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় যাচাই–বাছাই করে নিয়োগ করা যাবে।
এতে আরও বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এদিকে গত ২৩ নভেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ব্যাংক বা সমমনা প্রতিষ্ঠানের কাউকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্ব না দিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লিখিত দাবি জানায় বিএনপি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলটির নেতারা এই প্রস্তাব জমা দেন।
জানা যায়, ৩৬ দফার একটি প্রস্তাব প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে দিয়েছে দলটি। সেখানে বলা হয়েছে— নির্বাচনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বা পোলিং পারসোনেল, যেমন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বমহলে দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া যাবে না। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংক, আল–আরাফাহ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনা ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে ইসলামী ব্যাংক সারা দেশে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করেছে এবং এসব শূন্য পদে তড়িঘড়ি করে দলীয় লোক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
বিএনপির এই প্রস্তাবের তিনদিন পর ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব না দিতে বিএনপির আহ্বান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
