৬ শ্রেণির জমি বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, ধরা পড়লেই শাস্তি
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৯ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভূমিসেবা এখন চলে এসেছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। একদিকে সাধারণ ভূমি মালিকদের জন্য বাড়ছে স্বচ্ছতা ও সহজতা। অন্যদিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ শ্রেণির জমির মালিকদের জন্য জারি হয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা। ডিজিটাল ভূমিসেবার আওতায় বর্তমানে ছয় শ্রেণির জমি বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে শাস্তির বিধান রয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে— ‘ভূমিসেবা নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া এবং হয়রানিমুক্ত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভূমি মালিকানা নিশ্চিত করা।’ এ লক্ষ্যে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় ভূমিসেবা কার্যক্রম।
তবে সতর্ক থাকতে হবে। জমি ক্রয়ের আগে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে মালিকানা বৈধ কিনা। কারণ এখন সব তথ্য এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত। ফলে জালিয়াতি কিংবা অবৈধ মালিকানা লুকানো প্রায় অসম্ভব। সতর্ক না হলে প্রতারণার শিকার হওয়ার আশঙ্কা থেকে থেকে যায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছয় শ্রেণির জমি বিক্রি করলে তার পরিণতি কি হবে—
১. জাল রেকর্ডভিত্তিক মালিকানা
যারা অতীতে জাল রেকর্ডের মাধ্যমে প্রতারণা করে জমির মালিকানা অর্জন করেছেন, তারা সেই জমি বিক্রি করতে পারবেন না। সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
২. জাল নামজারিভিত্তিক মালিকানা
যারা আপনার সম্পত্তি ভুয়া দলিল কিংবা নামজারি তৈরি করে জমির মালিকানা দাবি করেছেন, তাদের শনাক্ত করে ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে বিক্রির ক্ষমতা রুদ্ধ করা যাবে।
৩. ভুয়া দাখিলাভিত্তিক মালিকানা
যারা ভুয়া দাখিলা জালিয়াতির মাধ্যমে জমি দখল করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। বিক্রির চেষ্টায় ধরা পড়লেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
৪. এজমালি সম্পত্তি
আপনার যেসব জমিতে একাধিক ওয়ারিশ রয়েছে, সেগুলো এককভাবে বিক্রি করতে পারবেন না। সব মালিক একমত না হলে বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে বাটোয়ারা দলিল থাকলে, নিজ অংশ বিক্রি করা যাবে।
৫. খাসজমি
আপনার ৯৯ বছরের পাওয়া সরকারি খাসজমি বিক্রি করতে পারবেন না। বিক্রির চেষ্টা করলে তা অবৈধ বলে গণ্য হবে এবং বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়ই আইনের আওতায় পড়বেন।
৬. জবরদখলের মাধ্যমে জমি জমি
জবরদখলের করে যারা নিজেকে মালিক দাবি করছেন, তারা আর সেই জমি বিক্রি করতে পারবেন না। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
