হাদিকে গুলির প্রতিবাদে ইনকিলাব মঞ্চের সমাবেশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে তার সংগঠনটি।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাবেশ ও গণ-প্রতিরোধ’ শীর্ষক এই সমাবেশ শুরু করে ইনকিলাব মঞ্চ।
সমাবেশে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো দেশের জন্য সবচাইতে ক্ষতিকর এলিমেন্টগুলোকে বন্ধু রূপে দেখিয়েছে, ফলে যেটা হয়েছে—আমার স্বাধীনতা, আমার সার্বভৌমত্ব, আমার আত্মমর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। আমরা লাল-সবুজের পতাকা বুকে পেঁচিয়ে আজাদীর সংগ্রাম চালিয়ে যাব। শরীফ ওসমানদেরকে পাড়া-মহল্লায় নতুন করে পরিচিত করানো হবে। এভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ইনকিলাব জিন্দাবাদ হয়ে থাকবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আপনি চাইলেও ওসমান হাদি হতে পারবেন না, আমি চাইলেও ওসমান হাদি হতে পারব না। হাদি বাংলাদেশকে ইনসাফের পথে নিয়ে যেতে চেয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যারা আছেন, আপনারা ছোট ছোট ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে বাহাস না করে এই জুলাই প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে, ওসমান হাদির দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করেন। আওয়ামী লীগ ও ইন্ডিয়ার প্রশ্নে আমাদেরকে একটা সেটেলমেন্টে আসতে হবে।’
দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘সুশীলদের কাছ থেকে চরিত্র পরিবর্তনের আশা করবেন না। এই সুশীলদের বিরুদ্ধে, কালচারাল ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে হাদি যে লড়াই শুরু করেছিল, সে লড়াই আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। এই ভারতীয় কুকুরদের চিহ্নিত করে নির্মূল করতে হবে। বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদের কোনো আইকন থাকতে পারবে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা তাসনিম জুমা বলেন, ‘আমার ভাই ফেরত আসবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলবে। এক বছর ধরে আপনারা যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-মতের মানুষ আছেন, আপনারা যে কাজটা করতে পারেন নাই—সেটা হচ্ছে কালচারাল ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন নাই। সেই কাজটাই এই মানুষটা করতে গিয়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। কারা কারা উল্লাস করছে, আমরা সেটাও দেখছি।’
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
