Logo
Logo
×

জাতীয়

নির্বাচনি ইশতেহারে বৈদেশিক নীতি স্পষ্ট করতে হবে: দিলারা চৌধুরী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম

নির্বাচনি ইশতেহারে বৈদেশিক নীতি স্পষ্ট করতে হবে: দিলারা চৌধুরী

ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি ইশতেহারে বৈদেশিক নীতি স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী। 

বুধবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি ও নয়া বন্দোবস্ত’ শীর্ষক আলোচনা ও প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আজাদি মুভমেন্ট।

অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, সব পলিটিক্যাল পার্টি তাদের ম্যানিফেস্টোর ভেতরে বলবে তাদের ফরেন পলিসি কী হবে এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে যেখানে যা চুক্তি হয়েছে, সব চুক্তিগুলো রিনিউ করবে এবং যেগুলো দেশবিরোধী চুক্তি রয়েছে, সেগুলো বাতিল করার অঙ্গীকার করতে হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও বর্তমান শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আমি ভেবেছিলাম- একটা নতুন বাংলাদেশ আমাদের আত্মমর্যাদা এবং সার্বভৌমত্ব সমুন্নত থাকবে। কিন্তু বর্তমানে জনগণের মধ্যে কোনো ঐক্য নাই। আবার আমাদের সমাজের মধ্যে যে বিভাজন রয়েছে, যেটা মুক্তিযুদ্ধের পর তৈরি করে দিয়েছিল ইন্ডিয়া। স্বাধীনতা-বিপক্ষ চেতনা...। এখন রাজাকার, মৌলবাদ এ সমস্ত শব্দ আবার আমাদের রাজনীতিতে ফেরত এসেছে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের কোনো বন্ধু হয় না। ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনে ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ বলে কিছু নাই, খালি স্বার্থই মুখ্য। ইন্ডিয়া বিশ্বাস করে, চাণক্য নীতিতে কয় হাজার বছর আগে লিখে গেছে, তোমার নেইবার (প্রতিবেশী) সবসময় তোমার শত্রু।’

আধিপত্যবাদ থেকে বের হওয়ার কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়ে এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, ইস্পাত কঠিন একটা ঐক্য জনগণের ভেতরে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের জ্ঞান চর্চা এবং বুদ্ধি চর্চা বাড়াতে হবে। ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তুলে সংরক্ষণ করতে হবে। তাছাড়া পাহাড়ি এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে আমাদের ইন্টিগ্রেশন (সংহতি) দরকার।

তিনি ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ইসলাম বলেছে তুমি জাস্টিস এস্টাব্লিশ করো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর এবং এক্সপ্লয়টেশন (শোষণ) বন্ধ করো। ইসলামে যেটা বলেছে সে অনুযায়ী তোমার চরিত্র গঠন প্রয়োজন।

দিলারা উল্লেখ করেন, আমরা নিপীড়িত হয়েছি ব্রিটিশ পিরিয়ড থেকে। ব্রিটিশরা কিন্তু আমাদেরকে সরাসরি শাসন করেনি, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে তারা এই এলাকার ভূমি তুলে দিয়েছিল জমিদারদের হাতে। এখানকার মানুষ জোরপূর্বক মুসলমান হয়নি বরং ‘এখানকার লোকেরা মুসলমান হয়েছে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং সুফিদের প্রচারের জন্য।

ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে হিন্দু ন্যাশনালিজম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইন্ডিয়াতে হিন্দুত্ববাদটা কী, ওটা তো ব্রাহ্মণবাদ, চাণক্যের বুদ্ধি তো ভীষণ বুদ্ধি তাদের। বাংলাদেশে এমন কোনো সেক্টর নাই, যেখানে পেনিট্রেশন (অনুপ্রবেশ) হয় নাই। এমনকি আমাদের গর্বের সেনাবাহিনী এবং ডিজিএফআই অফিসের ভেতরেও। তিনি আরও বলেন, ৫৪ বছর পর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবসটাকে মোদি কেড়ে নিয়ে গেছে। সে বলে দিয়েছে, ‘এটা তাদের বিজয়....’।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, খেলাফত আন্দোলনের নেতা মুফতি ফখরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার এসএম শাহরিয়ার প্রমুখ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম